ত্রিপুরায় বিপর্যয়ের পরও ১৪টি রাজ্যে লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের ঘোষণা তৃণমূলের

ওডিশা সফরে গিয়ে বিজেডি-বিজেপিকে নিশানা ডেরেকের। 

Updated By: Jan 27, 2019, 11:51 PM IST
ত্রিপুরায় বিপর্যয়ের পরও ১৪টি রাজ্যে লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের ঘোষণা তৃণমূলের

কমলিকা সেনগুপ্ত 

একটা-দুটো নয়, আসন্ন লোকসভা ভোটে দেশের ১৪টি রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করলেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন। এদিন ওডিশা সফরে ডেরেক অভিযোগ করেন, সংসদে বিজেপিকে সহযোগিতা করছে বিজেডি। ব্রিগেডে বিরোধী সভায় বিজেডি কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেতা। 

ডিসেম্বরে দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকের পর তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে কোনও দলের সঙ্গে জোট করছে না তৃণমূল। যেখানে যে শক্তিশালী, সেই দল সেখানে লড়াই করবে। ফলে এদিন ডেরেক ঘোষণা দলনেত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, অসম, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা ও ওডিশায় প্রার্থী দেবে তৃণমূল। এদিন ১৪টি রাজ্যে ভোটে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছেন ডেরেক। কিন্তু কোন ১৪টি রাজ্য তা স্পষ্ট করেননি। তবে ওডিশায় এবার বিজেডি-বিজেপির বিকল্প হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে তৃণমূল, তা গোপন করেননি ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁর কথায়,''গত ৪ বছরে বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দেয়নি বিজেডি। দু নৌকোয় পা দিয়ে চলা সম্ভব নয়। রং বদলের রাজনীতি করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের সভায় ডাকা হয়েছিল বিজেডি-কে। কিন্তু ওরা আসে নি''।     

   

আরও পড়ুন- জমানার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন রূপে ফিরছে বজাজের স্কুটার

পরিসংখ্যান বলছে, ভিন রাজ্যে তৃণমূলের ফল আহামরি নয়। সদ্য অসমের পঞ্চায়েত ভোটে বাঙালি বসতি এলাকাতেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। গতবছর ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে নোটার চেয়েও কম পেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বিপ্লব দেবের রাজ্যে ২৪টি আসনে লড়াই করে তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ৬,৮৮৯টি ভোট অর্থাত্ ০.৩ শতাংশ। নোটায় পড়েছিল ১ শতাংশ ভোট।       

আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটের আগে সোমবার ৪,০০০ ক্লাবকে অনুদান দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী

 বাংলায় একের পর এক সভা করে চলেছে বিজেপি। অমিত শাহ ঘুরে গিয়েছেন। আবারও আসছেন। সভা করবেন প্রধানমন্ত্রীও। একের পর এক সভা করে শাসক দলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে বিজেপির দৌড়ঝাঁপ সামাল দিয়ে ভিন রাজ্যে তৃণমূল কতটা ভাল ফল করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রাজনৈতিক মহলে। তাদের যুক্তি, ভোট পেতে গেলে সংগঠন থাকতে হয়, ভিন রাজ্যে কি আদৌ তেমন সাংগঠনিক ক্ষমতা বিস্তার করতে পেরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল?           

.