`দের আয়ে, দুরুস্ত আয়ে`: মোদী

`দের আয়ে, দুরুস্ত আয়ে।` দীর্ঘ ১১ বছরের টালবাহানার পর ২০০১ সালে সাংসদ হামলার মূল অভিযুক্ত আফজল গুরুর ফাঁসি প্রসঙ্গে এই টুইট করলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Updated By: Feb 9, 2013, 01:17 PM IST

`দের আয়ে, দুরুস্ত আয়ে।` দীর্ঘ ১১ বছরের টালবাহানার পর ২০০১ সালে সাংসদ হামলার মূল অভিযুক্ত আফজল গুরুর ফাঁসি প্রসঙ্গে এই টুইট করলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে, আফজল গুরুর ফাঁসি ঘিরে অশান্ত হতে পারে কাশ্মীর উপত্যকা। আজ সকালে সংসদ হামলার মূল চক্রী আফজল গুরুর ফাঁসির পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এই রকম আশঙ্কাই প্রকাশ করলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। গুরুর ফাঁসির সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তার স্বার্থে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আফজল গুরুর আদি বাড়ি সোপোর সহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর অঞ্চলে কেবল টিভি, ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে অকেজো করা হয়েছে। শ্রীনগর, সোপোর, বারামুলা, অনন্তনাগ, পত্তান এলাকার মানুষকে বাড়ি বেড়তে নিষেধ করা হয়েছে কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে।
ওমর আবদুল্লাহ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন আফজল গুরুর ফাঁসি থেকে বহু রাজনৈতিক ও জঙ্গি সংগঠন রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে। তিনি রাজ্যের মানুষকে কোনরকম প্ররোচনায় পা না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আফজল গুরুর ফাঁসি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ বিশিষ্টজনেরা। কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিং সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন জঙ্গি হামলার বিচারের ক্ষেত্রেও ফাস্টট্র্যাক কোর্ট গঠন করা উচিৎ।
কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি
এই বিষয়টিকে সরকারের সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন। তার সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন বিজেপির মত ইউপিএ সরকার এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করেনি।
লোকসভার প্রকাতন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সংসদ হামলার বিষয়টিকে একটি `জঘন্য ঘটনা` বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে দূর্বল করার চেষ্টায় পরিকল্পিত এই হামলার বিরুদ্ধে আইওন মেনে আদলত যে নির্দেশ দিয়েছিল এ ক্ষেত্রে তারই যথাযথ পালন হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিৎ।
বিজেপির তরফ থেকে আফজল গুরুর ফাঁসিকে স্বাগত জানানো হলেও এই সিদ্ধান্ত নিতে সরকার বিলম্ব করেছে বলেও সমালোচনা করা হয়েছে।
সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করার সঙ্গেই দ্রুত রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার নিষ্পত্তি দাবি করেছেন।
বিশিষ্ট অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনও আইনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, হুরিয়ত নেতাদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছে। হুরিয়ত নেতা এস এস গিলানি আফজল গুরুর ফাঁসির সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

.