ফাঁসি দেওয়া হল আফজল গুরুকে

অবশেষে ফাঁসিই দেওয়া হল আফজল গুরুকে। আজ সকাল ৮টায় তিহার জেলের ৩ নম্বর সেলে ফাঁসি হল ২০০১ সালে সংসদ হামলার মূল অভিযুক্তের। তারপর দ্রুত জেল চত্বরেই কবর দেওয়া হয় তাঁকে। আজ এ কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে এবং স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং। তিহার জেল এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দিল্লির সমস্ত থানায়।

Updated By: Feb 9, 2013, 08:29 AM IST

অবশেষে ফাঁসিই দেওয়া হল আফজল গুরুকে। আজ সকাল ৮টায় তিহার জেলের ৩ নম্বর সেলে ফাঁসি হল ২০০১ সালে সংসদ হামলার মূল অভিযুক্তের। তারপর দ্রুত জেল চত্বরেই কবর দেওয়া হয় তাঁকে। আজ এ কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে এবং স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং। তিহার জেল এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দিল্লির সমস্ত থানায়। করা নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছে দিল্লিকেও। অন্যদিকে, হুরিয়ত নেতারা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এই ঘটনায় কাশ্মীরের শান্তি নষ্ট হবে। হুরিয়ত নেতা এস এস গিলানি আফজল গুরুর ফাঁসির প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়ার পর তিহার জেল এবং শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগ-সহ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দিল্লির সমস্ত থানায়।
আফজলের পরিবারের লোকজনকে ফাঁসির কথা জানানো হয়েছিল কিন্তু তাঁরা তাঁর দেহ নেওয়ার দাবি জানাননি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। কিন্তু খবর জানাজানি হওয়ার পর কাশ্মীরে সোপোর এবং বারামুলা জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। সোপোরই জইশ-এ-মহম্মদ-এর সন্ত্রাসবাদী এবং এক সময় ফল বিক্রেতা বলে পরিচিত আফজল গুরুর নিজের জেলা।
কাশ্মীরে বিক্ষোভের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুক চার দিন শোক পালনের ঘোষণা করেছেন। শান্তির আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
বিজেপি-সহ রাজনৈতিক দলগুলি আফজলের ফাঁসির ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে।
২০০৪ সালে আফজল গুরুকে আগেই ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু
আফজল গুরুর স্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষার আর্জি করেন। তারপর
থেকে এতদিন পর্যন্ত আফজল গুরুর ফাঁসির সিদ্ধান্তটি স্থগিত ছিল।
রাষ্ট্রপতি
ভবনের মুখপাত্র ভেনু  রাজাময় জানিয়েছেন গত কয়েকদিন আগেই সেই আর্জি খারিজ
করে দেন রাষ্ট্রপতি।  তারপর আফজল গুরুর ফাঁসি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল
বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে ইঙ্গিত ছিল আগেই।
২০০১ সালে পাঁচজন
সশস্ত্র জঙ্গি সংসদ আক্রমণ করে। এই হামলায় ৯জন প্রাণ হারান। যাঁদের মধ্যে
অধিকাংশই সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলি
যুদ্ধে ওই পাঁচ জঙ্গিই মারা যায়।
এর কিছুদিন পর এই হামলা সংগঠিত
করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় আফজল গুরুকে। মুম্বই জঙ্গি হামলার মূল
অভিযুক্ত আজমল কসাভের মত একই কায়দায়, নজিরবিহীন গোপনীয়তায় আফজল গুরুকেও
ফাঁসি দেওয়া হয়।

আফজাল গুরুর টাইমলাইন পড়তে ক্লিক করুন এখানে।

.