দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ড: চার অপরাধীর ফাঁসির সাজা বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অপরাধী সব্যস্ত চার ব্যক্তির নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০১২ সালে ডিসেম্বরে রাজধানীর রাজপথে গণধর্ষণ ও বীভৎস যৌন অত্যাচারের শিকার হন ২৩ বছরের প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রী। মৃত্যুর সঙ্গে অসম লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে ঘটনার ১৫ দিন পরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যান নিগৃহীতা।
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অপরাধী সব্যস্ত চার ব্যক্তির নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০১২ সালে ১৬ ডিসেম্বরে রাজধানীর রাজপথে গণধর্ষণ ও বীভৎস যৌন অত্যাচারের শিকার হন ২৩ বছরের প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রী। মৃত্যুর সঙ্গে অসম লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে ঘটনার ১৫ দিন পরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যান নিগৃহীতা।
গত বছর মুকেশ, বিনয় শর্মা, পবন ও অক্ষয় ঠাকুর এই চার অপরাধীকে ফাঁসির হুকুম শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। আজ হাইকোর্টেও এই রায় বহাল থাকল।
দিল্লির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল সারা দেশ। দিনের পর দিন প্রতিবাদে সামিল হয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সারা দেশে নারী নিগ্রহের ভয়ানক চিত্রটা এক লহমায় যেন উন্মোচিত হয়ে গিয়েছিল সারা দেশের সামনে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের জেরে নতুন আইন প্রণয়নে বাধ্য হয় সরকার।
হাইকোর্ট আজকের রায়ে দিল্লির অপরাধকে `বিরলের মত বিরলতম` আখ্যা দিয়েছে। এ দেশে যার সাজা মৃত্যদণ্ড।
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এই চার অপরাধী দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে। যে আবেদন খারিজ করে দিয়ে আজ খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
এই ঘটনায় পঞ্চম অপরাধী বাস ড্রাইভার রাম সিং গত বছর মার্চ মাসে জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে।
বর্তমানে চার অপরাধী তিহার জেলে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আছে।
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের ষষ্ঠ অপরাধী ঘটনার সময় নাবালক হওয়ার দরুণ জুভেনাইল আইনের আওতায় তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে রয়েছে।