নেতাজির মৃত্যুদিন উল্লেখ করে টুইট! বিতর্ক উসকে দিল কংগ্রেস
সুভাষ চন্দ্রের ছবির সঙ্গেই উল্লেখ রয়েছে ১৮ অগাস্ট ১৯৪৫ তারিখটির কথা। এই পোস্টের পর ওয়াকিফহাল মহল মনে করছে, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে কংগ্রেস তাদের অফিসিয়াল স্ট্যান্ড স্পষ্ট করল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাইহুকু বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে নেতাজির। সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৩তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর মৃত্যুদিন উল্লেখ করে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল কংগ্রেস। আজ ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে একটি টুইট করেছে কংগ্রেস, যেখানে তাঁর মৃত্যুদিন উল্লেখ করা হয়েছে। সুভাষ চন্দ্রের ছবির সঙ্গেই উল্লেখ রয়েছে ১৮ অগাস্ট ১৯৪৫ তারিখটি। এই পোস্টের পর ওয়াকিফহাল মহল মনে করছে, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে কংগ্রেস তাদের অবস্থান স্পষ্ট করল।
প্রসঙ্গত নেতাজির মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও দিনক্ষণের ঘোষণা করেনি ভারত সরকার। এই নিয়ে একাধিক তদন্ত হওয়ার পরও নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে রহস্য থেকেই গিয়েছে। একপক্ষ মনে করে তাইহুকু বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। তিনি অন্তর্ধানে ছিলেন।
একাংশের মতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছিল ভিয়েতনামের জেলে। বছর দুয়েক আগে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন ফরাসি ঐতিহাসিক তথা অধ্যাপক জেবিপি মোরে। তিনি বলেন, ''নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে পারে যে ফাইল, সেটিকে ফরাসি সরকার ১০০ বছরের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।'' তাঁর এই চাঞ্চল্যকর দাবির পরই নতুন করে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য দিশা পেতে পারে বলে মনে করছিল সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন- মমতা না মায়া? প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে পছন্দ অখিলেশের?
মোরে দাবি করেছিলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর শেষ জীবন কেটেছে ভিয়েতনামের সাইগনে। ১৯৪৫ সালে সেখানকার বোট ক্যাটিনাট জেলেই বন্দি থাকা অবস্থাতেই সম্ভবত মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু, এনআইএ ও নেতাজির সাইগনের থাকা সংক্রান্ত যে ফাইল রয়েছে তা আগামী ১০০ বছরের জন্য গোপন করে দেওয়া হয়েছে। মোরের দাবি, ফরাসি সেনার হাতে থাকা ওই ফাইলই নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে পারে। অথচ, ফরাসি সরকার তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে ওই ফাইল কোনও পরিস্থিতিতেই মোরেকে দেখানো হবে না।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের ৮৫ শতাংশ লুঠের টাকা দেশবাসীর ব্যাঙ্কে ১০০ শতাংশ পৌঁছে দিয়েছি: মোদী
ফরাসি সিক্রেট সার্ভিস থেকে পাওয়া এই তথ্যটি দিয়ে ভারত সরকারকে একটি চিঠিও লিখেছেন মোরে। সেখানে তিনি বলেছেন, অবিলম্বে ভারত সরকারের উচিত ফ্রান্স সরকারকে চাপ দেওয়া, যাতে এই ফাইলটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
(কংগ্রেস সভাপতির টুইট)
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার ২০১৫ সালে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য সম্পর্কিত নথি খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটিও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি। এমন অবস্থায় নেতাজির মৃত্যুদিন উল্লেখ করে টুইটে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল কংগ্রেস।