ভারতে ঢুকল চিনা সেনা
লে-লাদাখে ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল চিনা সেনা। গত ১৭ জুন ভারতীয় এলাকায় তারা ঢুকে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমতো হিন্দি ভাষায় হুমকি দেয় চিনা সেনার ওই দল। ভাঙচুর করে ভারতীয় সেনার বসানো অত্যাধুনিক ক্যামেরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির চিন সফরের আগে লাল ফৌজের এই আচরণকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বিদেশমন্ত্রক।
লে-লাদাখে ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল চিনা সেনা। গত ১৭ জুন ভারতীয় এলাকায় তারা ঢুকে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমতো হিন্দি ভাষায় হুমকি দেয় চিনা সেনার ওই দল। ভাঙচুর করে ভারতীয় সেনার বসানো অত্যাধুনিক ক্যামেরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির চিন সফরের আগে লাল ফৌজের এই আচরণকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বিদেশমন্ত্রক।
রবিবারই শেষ হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির চিন সফর। ঠিক তার পরদিনই সামনে এল চিনা সৈন্যদের ভারতীয় ভূখণ্ডে ফের অনুপ্রবেশের ঘটনা। মে মাসে লে-লাদাখ সেক্টরে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনাদের অনুপ্রবেশ ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনা। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে মেটানো হয়েছিল সেই সমস্যা। দিন পনেরো আগে ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়ে ভারতীয় সেনার বসানো ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে চিনা সেনারা। একই সঙ্গে হিন্দিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কড়া হঁশিয়ারি দিয়ে গেছে তারা।
ভারত-চিন সীমান্তে লে-লাদাক সেক্টরের চুমুরের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে চিনা সেনাদের বিরুদ্ধে। সেই সময় দুপক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে ওই এলাকায় নিজেদের নির্মাণ করা কয়েকটি কাঠামো ভেঙে ফেলে ভারতীয় সেনা। তবে নিয়ন্ত্রণ রেখার দুদিকে চিনা সৈন্যদের গতিবিধির ওপর নজরদারির জন্য ভারতীয় সেনার তরফে বসানো হয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। গত সতেরোই জুন একদল চিনা সৈন্য ওই এলাকায় ঢুকে প়ডে ভেঙে দেয় ওই ক্যামেরা। একইসঙ্গে হিন্দিতে তারা হুমকি দেয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশও দেয় তারা। গোয়েন্দা সংস্থা মারফত এখবর পৌঁছয় প্রতিরক্ষা দফতরে। কিন্তু উত্তারখণ্ডে উদ্ধার অভিযান নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ফের বিতর্ক এড়াতে ওই ঘটনা গোপন রাখা হয় সরকারের তরফে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যান্টনির চিন সফরের পরপরই চিনা নেতারা বিবৃতি দেন, সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে দুদেশের সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা হবে। অথচ অ্যান্টনির সফর শেষ হওয়া মাত্রই সামনে এল চিনা সৈন্যের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের অনুপ্রবেশের ঘটনা। উত্তেজনা জিইয়ে রাখার এই নীতি, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা নিয়ে চিনের
মনোভাব সম্পর্কেই নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল।