তারমেটলার জঙ্গল থেকে খালি হাতেই ফিরলেন মধ্যস্থতাকারীরা
ছত্তিসগড়ে জেলাশাসকের অপহরণ কাণ্ড নিয়ে জট এখনও কাটেনি। এদিকে মাওবাদী ডেরা থেকে ফেরার পর রায়পুরে সরকার নিযুক্ত দুই মধ্যস্থতাকারী নির্মলা বুচ ও এসকে মিশ্রের সঙ্গে আলোচনা করলেন মাওবাদীদের নির্বাচিত দুই মধ্যস্থতাকারী বিডি শর্মা ও হরগোপাল।
ছত্তিসগড়ে জেলাশাসকের অপহরণ কাণ্ড নিয়ে জট এখনও কাটেনি। এদিকে মাওবাদী ডেরা থেকে ফেরার পর রায়পুরে সরকার নিযুক্ত দুই মধ্যস্থতাকারী নির্মলা বুচ ও এসকে মিশ্রের সঙ্গে আলোচনা করলেন মাওবাদীদের নির্বাচিত দুই মধ্যস্থতাকারী বিডি শর্মা ও হরগোপাল। মাওবাদীদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় সরকার নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীদের কাছে। সেই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান মধ্যস্থতাকারী নির্মলা বুচ।
সুকমার অপহৃত জেলাশাসকের মুক্তির শর্ত নিয়ে আলোচনা করতে শনিবারই তারমেটলার জঙ্গলে গিয়েছিলেন দুই মধ্যস্থতাকারী বিডি শর্মা ও হরগোপাল। রাতভর মাওবাদীদের ডেরাতেই ছিলেন তাঁরা। রবিবার সকালে তারমেটলার জঙ্গল থেকে চিন্তলনাড় ফেরেন দুই মধ্যস্থতাকারী। পণবন্দি জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেনন নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দেখা হয়নি অ্যালেক্স পল মেননের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শনিবার রাতে তারমেটলা জঙ্গলের আশেপাশেই রাখা হয়েছিল অপহৃত জেলাশাসককে।
হেলিকপ্টারে রায়পুর ফিরে যান মধ্যস্থতাকারীরা। সেখানেই সরকার নিযুক্ত দুই মধ্যস্থতাকারী নির্মলা বুচ ও এসকে মিশ্রের সঙ্গে আলোচনা করেন বিডি শর্মা ও হরগোপাল।
সরকার নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী নির্মলা বুচ জানান, দুই মধ্যস্থতাকারী বি ডি শর্মা ও হরগোপাল মাওবাদীদের কাছ থেকে যে বার্তা এনেছেন তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পোঁছে দেওয়া হবে।
অপহৃত জেলাশাসককের মুক্তি নিয়ে জট এখনও কাটেনি। সূত্রের খবর, জেলাশাসকের বিনিময়ে সাজাপ্রাপ্ত মাওবাদী নেতাদের না-ছাড়ার বিষয়ে অনড় মনোভাব নিয়েছে ছত্তিসগড় সরকার। অন্যদিকে মাওবাদীদের তরফেও নয়নীয় মনোভাব দেখানো হয়নি। এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে ছাড়ার ব্যাপারে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মাওবাদীরা। আরবান নেটওয়ার্ককে উজ্জীবিত করার জন্য এব্যাপারে বেশি তত্পরতা দেখাচ্ছে তারা। তবে ১৭ জনকে ছাড়ার ব্যাপারে বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে সরকারের। সাজাপ্রাপ্তদের ছাড়ার ব্যাপারে কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। একবার মাওবাদীদের কাছে নতিস্বীকার করলে পরবর্তী সময়ে তা দৃষ্টান্ত হয়ে যেতে পারে। আর সামনের বছরই ছত্তিসগড়ে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে এইসময় মাওবাদীদের ছেড়ে দিলে রাজনৈতিক চাপও বাড়বে সরকারের ওপর। এই সব বিবেচনা করেই মাওবাদীদের দাবি নিয়ে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে ছত্তিসগড় সরকার।