কথা ছিল নতুন রাজ্যে জল-জঙ্গলের অধিকার থাকবে আদিবাসী মানুষদের হাতে, ১৩ বছর পার করেও ছত্তিসগড়ে কথা রাখেনি কোনও শাসকই
জল-জঙ্গলের অধিকার থাকবে আদিবাসী মানুষের হাতে। এই শপথ নিয়েই মধ্যপ্রদেশ থেকে ভাগ করা হয়েছিল ছত্তিশগড়কে। অথচ রাজ্য ভাগের ১৩ বছর পরও ছটি নদী বিক্রি হয়ে গিয়েছে বেসরকারি সংস্থার হাতে। নতুন রাজধানী শহর গড়তে অধিগৃহীত হয়েছে আট হাজার হেক্টর কৃষি জমি। বিনিময়ে কৃষকরা প্রায় কিছুই পাননি।
জল-জঙ্গলের অধিকার থাকবে আদিবাসী মানুষের হাতে। এই শপথ নিয়েই মধ্যপ্রদেশ থেকে ভাগ করা হয়েছিল ছত্তিশগড়কে। অথচ রাজ্য ভাগের ১৩ বছর পরও ছটি নদী বিক্রি হয়ে গিয়েছে বেসরকারি সংস্থার হাতে। নতুন রাজধানী শহর গড়তে অধিগৃহীত হয়েছে আট হাজার হেক্টর কৃষি জমি। বিনিময়ে কৃষকরা প্রায় কিছুই পাননি।
ছত্তিশগড়ের এই মানুষগুলোর হাতেই নদীর অধিকার থাকার কথা ছিল। কথা ছিল নদীর জল কোথায় সেচের কাজে, কোথায় কারখানার কাজে, কোথায় পর্যটক টানতে ব্যবহার হবে সেসব নীতি নির্ধারণ করবেন ওঁরাই।
কিন্তু সেসব শপথ কবেই ভুলে গিয়েছে ছত্তিশগড়। এখন রাজ্যের ছ-ছটি নদী কার্যত বিনে পয়সায় কিনে নিয়েছে নামি দামী কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা।
কেলো, কুর্কুট, মান্ড, এই তিন নদীর মালিক এখন জিন্দাল গোষ্ঠী। সাবরি নদীর এসার। মহানদীর মালিক জিএমআর। শিবনাথ নদীটি কিনে নিয়েছে রেডিয়াস বলে একটি সংস্থা।
শুধু নদীই নয় একই অবস্থা কৃষিজমিরও। ৮ হাজার ১৩ হেক্টর জমি ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণ করা হয়েছে নতুন রাজধানী শহর গড়তে।
তৈরি হয়েছে ঝাঁ চকচকে এয়ারপোর্ট। তাক লাগানো উপনগরী। তৈরি হবে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কয়েকশো একর জমি নিয়ে তৈরি হবে রাজ্যের সচিবালয়।
কিছুটা পরিহাসের মতোই, মার্কিন পার্লামেন্টের নামের নকলে এই সচিবালয়ের নাম হবে ক্যাপিটল।
কৃষকরা অভিযোগ করছেন, মাত্র সাড়ে ১২ টাকা স্কোয়ার ফুট দরে অধিগৃহীত জমির দাম পেয়েছেন তাঁরা।
কংগ্রেস আমলেই শুরু হয়েছিল এই অধিগ্রহণ। কিন্তু টানা দশ বছর বিরোধী আসনে বসে এখন সেই জমিকেই ইস্যু করছে কংগ্রেস।
দুর্নীতির অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক বিজেপি। তাদের বক্তব্য, প্রমাণ থাকলে আদালতে যাক বিরোধীরা।
তবে শাসক বিজেপি যাই বলুক না কেন, আদিবাসীদের রাজ্যে এখন আদিবাসীরাই যে সবচেয়ে শোষিত তা স্পষ্ট।