কল ড্রপ নিয়ে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র, জবাবদিহি তলব
কল ড্রপ নিয়ে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র। জবাবদিহি তলব করা হল টেলিকম কোম্পানিগুলির কাছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: কল ড্রপ নিয়ে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র। জবাবদিহি তলব করা হল টেলিকম কোম্পানিগুলির কাছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যাওয়া। টেক্সিং করতে করতে টাওয়ার উধাও। থ্রিজি-র জন্য বাড়তি খরচ করেও পরিষেবা না পাওয়া। আর মাসের শেষে মোটা অঙ্কের বিল। সংক্ষেপে কলড্রপ। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে সবকটি টেলিকম সংস্থাই এই অভিযোগে অভিযুক্ত। কেন কলড্রপ? যুক্তি নানাবিধ। টেলিকম সংস্থাগুলি বলছে,
কল ড্রপ: কী অজুহাত?
--------------
স্পেকট্রামের অভাব: ব্যস্ত সময়ে অতিরিক্ত ক্রেতার চাপ সামলানোর স্পেকট্রাম নেই। ট্রাফিক বেড়ে নেটওয়ার্ক জ্যাম হচ্ছে।
যান্ত্রিক ত্রুটি: স্পেকট্রাম বণ্টন জটিলতায় প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়নি। ফলে বাড়তি ক্রেতার চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।
বিদ্যুত্ বিপর্যয়: কিছু এলাকায় ঘনঘন লোডশেডিং সার্ভারের ওপর প্রভাব ফেলছে।
মোবাইল টাওয়ার: পরিবেশগত কারণে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নিষেধাজ্ঞা। প্রভাব পড়ছে পরিষেবায়।
লোকেশন সমস্যা: টাওয়ার বসানোর উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাওয়াও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কলড্রপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সরব হয়েছেন উপভোক্তা। দেশবাসীকে ডিজিট্যাল মিডিয়ার স্বপ্ন দেখানো মোদী সরকারের কাছেও এই পরিস্থিতি অস্বস্তিকর। কেন্দ্র বলছে, কলড্রপ নিয়ে টেলিকম সংস্থাগুলি যা বলছে, তার কোনওটাই প্রকৃত যুক্তি নয়। অজুহাত মাত্র। টেলিকম মন্ত্রক বলছে,
কল ড্রপ: কেন্দ্রের জবাব
স্পেকট্রামের অভাব: কল ড্রপের অজুহাত হতে পারে না। শেষ নিলামে অনেক স্পেকট্রামের ক্রেতা মেলেনি।
লাভের লোভ?: ব্যান্ডউইথ না বাড়িয়েই বাড়তি কানেকশন দিচ্ছে টেলিকম কোম্পানিগুলি। ফলে বাড়ছে নেট ট্র্যাফিক।
মোবাইল কোম্পানিগুলিকে কল ড্রপের সমস্যা কাটানোর নির্দেশ দিয়ে ১৭ জুলাই চিঠি দিয়েছিল টেলিকম দফতর। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তা জানিয়ে ৩১ জুলাইয়ের তাদের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।