জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে কৃষকদের পরামর্শ জানতে কমিটি গঠন করল বিজেপি
সব স্তর থেকে তীব্র ক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে মঙ্গলবার শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স হঠিয়ে লোকসভায় নয়া জমি অধি গ্রহণ বিল পেশ করতে বাধ্য হল মোদী সরকার। যদিও, বিল পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জোট বদ্ধ হয়ে এই নিয়ে বিতর্কের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।
নয়া দিল্লি: সব স্তর থেকে তীব্র ক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে মঙ্গলবার শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স হঠিয়ে লোকসভায় নয়া জমি অধি গ্রহণ বিল পেশ করতে বাধ্য হল মোদী সরকার। যদিও, বিল পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জোট বদ্ধ হয়ে এই নিয়ে বিতর্কের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।
> জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে পরামর্শ জানতে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করলেন বিজেপি চিফ অমিত শাহ।
> এই বিল কৃষক-মারা- অমরিন্দর সিং, কংগ্রেস
> ২টো অবধি স্থগিত হয়ে গেল সংসদের উভয়কক্ষ।
> কৃষকদের পরামর্শ সবসময় স্বাগত। আমরা কৃষকদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শীঘ্র দেখা করব।- রাজনাথ সিং
> সংসদে অযথা প্রতিবাদ না করে আসুন আলোচনা করা যাক- বিরোধীদের প্রতি বিজেপি নেতা কলরাজ মিশ্র।
>পরিবর্তন না করলে এই বিল পাশ হওয়া সম্ভব না-প্রফুল্ল প্যাটেল। (এনসিপি)
>বিরোধীরা প্রত্যেকে এই জমি অধিগ্রহণ বিলের বিপক্ষে। এই সরকারটাই কৃষক বিরোধী।- সমাজবাদী পার্টি প্রধান মুলায়ম সিং যাদব।
> সংসদে নিম্নকক্ষে সরকার জমি অধিগ্রহণ বিল পেশ করার পরেই ওয়াক আউট করলেন বিরোধীরা।
> বিজেপি সহ এনডিএ-এর অনান্য দলের নেতারা আজ এই বিলকে কীভাবে আরও ফলপ্রসূ করে তোলা যায় সেই বিষয়ে আলোচনায় বসবেন।
> মোদী সরকারের দাবি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির পরামর্শ অনুযায়ী নয়া জমি অধিগ্রহণ বিলের অ্যামেন্ডমেন্টস তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন সরকার এই নিয়ে কিছুতেই আর পিছু হটবে না।
> বিরোধীরা এই বিলের বিরোধীতা করতে গিয়ে যে কাল্পনিক গল্প চালাচ্ছেন তার মোকাবিলা শক্ত হাতে করতে হবে। বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।
> কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রী বিরেন্দর সিং লোকসভায় জমি অধিগ্রহণ বিল পেশ করলেন।
> জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাতিদ্য সিন্ধিয়ার মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করলেন স্পিকার সুমিতা মহাজন।
> জমির পরিবির্তে ৪ গুণ ক্ষতি পূরণ পাবেন কৃষকরা। - অরুণ জেটলি
> আগে এই বিলটি সংসদে পেশ করতে দিন তারপর বিতর্ক করুন। সম্পূর্ণভাবে প্রস্তাবিত আইনগুলি না পড়ে দয়া করে কোনও বক্তব্য পেশ করবেন না। অরুণ জেটলি।
> এই সরকার জমি অধিগ্রহণ বিলের মাধ্যমে সরাসরি বড় বড় পুঁজিপতিদের দালালি করছে। -মায়াবতী।
> জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স অসাংসদীয় নয়। , দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির।
> বিজেপি পার্লামেন্টে গা জোয়ারি করছে।- জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রেসিডেন্ট শরদ যাদব।
কৃষক-বিরোধী জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স নিয়ে সমাজের সমস্তস্তরে সমালোচিত হওয়ার পর এই অর্ডিন্যান্স হঠিয়ে নয়া আজ লোকসভায় নয়া জমি অধিগ্রহণ বিল আনতে চলেছে মোদী সরকার।
এই বিলে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সম্মতির প্রশ্ন স্পষ্ট করা এবং এর ফলে সামাজিক প্রভাবের মূল্যায়নের লাগাতার দাবি জানিয়ে এসেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি এই বিষয় স্পষ্ট হলে তবেই কৃষক দরদী আইন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অন্যদিকে, কাল বাজেট অধিবেশনের সূচনা বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন নয়া বিলে জমির মালিক ও কৃষকদের অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চৌধুরি বিরেন্দর সিং আজ সংসদে 'Right to Fair Compensation and Transparency in Land Acquisition, Rehabilitation and Resettlement (Amendment) বিল, ২০১৫ পেশ করবেন।
গত বছর ডিসেম্বর থেকে জারি হওয়া মোদী সরকারের এই সংক্রান্ত বহু বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সটিকে প্রতিস্থাপন করবে এই বিলটি।