লটারিতে লক্ষ্যভেদ বিজেপির
লক্ষ্যভ্রষ্ট তির-ধনুক, লটারিতে লক্ষ্যভেদ করল পদ্ম। সত্যিই বিজেপির সময়টা বড্ড ভাল যাচ্ছে। না হলে কখনও লটারিতে কেউ ভোটে জেতে! না, না, কোনও তীর্যক অর্থ এর মধ্যে নিহিত নেই, গোটাটাই আক্ষরিক অর্থে সঠিক। গতকাল প্রকাশিত মহারাষ্ট্রের বৃহন্মুম্বাই পুরসভার নির্বাচনে এমনই বেনজির ঘটনা ঘটেছে ২২০ নম্বর ওয়ার্ডে। শিবসেনা ও বিজেপির যুযুধান দুই প্রার্থীর ভোট সমসংখ্যক (টাই) হওয়ায় শেষ অবধি লটারির আশ্রয় নিতেই বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। তবে গোটা ব্যাপারটা মোটেই এতটা নিরামিষ ছিল না। বরং ফোর ফর্টি ভোল্টের নাটকীয়তায় মোড়া ছিল ওয়ার্ড নাম্বার টু টোয়েন্টির ভোট গণনা প্রক্রিয়া।
ওয়েব ডেস্ক: লক্ষ্যভ্রষ্ট তির-ধনুক, লটারিতে লক্ষ্যভেদ করল পদ্ম। সত্যিই বিজেপির সময়টা বড্ড ভাল যাচ্ছে। না হলে কখনও লটারিতে কেউ ভোটে জেতে! না, না, কোনও তীর্যক অর্থ এর মধ্যে নিহিত নেই, গোটাটাই আক্ষরিক অর্থে সঠিক। গতকাল প্রকাশিত মহারাষ্ট্রের বৃহন্মুম্বাই পুরসভার নির্বাচনে এমনই বেনজির ঘটনা ঘটেছে ২২০ নম্বর ওয়ার্ডে। শিবসেনা ও বিজেপির যুযুধান দুই প্রার্থীর ভোট সমসংখ্যক (টাই) হওয়ায় শেষ অবধি লটারির আশ্রয় নিতেই বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। তবে গোটা ব্যাপারটা মোটেই এতটা নিরামিষ ছিল না। বরং ফোর ফর্টি ভোল্টের নাটকীয়তায় মোড়া ছিল ওয়ার্ড নাম্বার টু টোয়েন্টির ভোট গণনা প্রক্রিয়া।
এই কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অতুল সিং। আর অন্যদিকে শিবসেনার সুরেন্দ্র বগলকর। ভোট গণনার পরে বিজয়ী ঘোষিত হন সুরেন্দ্র বগলকর। কিন্তু দুঁদে রাজনীতিক অতুল সিং-এর বিস্ময় কিছুতেই কাটছিল না। কারণ, তিনি অত্যন্ত নিশ্চিত ছিলেন নিজের জয়ের ব্যাপারে। আর তাই প্রত্যয়ী অতুল চ্যালেঞ্জ করে বসলেন ভোটের ফলাফলকে। ব্যাস! শুরু হল পুনর্গণনা। তবে একবার পুনর্গণনা করে রক্ষে হল না, বারের বার তিন বার ধরে পুনরায় ভোট গুনতে হল ভোট গণনার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের। কারণ, প্রতিটি পুনর্গণনার শেষেই দেখা যাচ্ছিল যে, উভয় প্রার্থীর ঝুলিতেই সমসংখ্যক ভোট। তখন আর উপায় কী! বাধ্য হয়ে লটারির পথই বেছে নিতে বাধ্য হন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। আর শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পেরে মুখের হাসি চওড়া হয় অতুল সিং-এর। সত্যিই তাঁর নামের মতনই তাঁর এই জয়ও অতুল, তুলনা মেলা ভার। (আরও পড়ুন- শিবকে সোনার গোঁফ উপহার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের )