ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লব কুমার দেব

দলের অন্দরে অনেকেই স্বীকারও করে নিয়েছিলেন যে, বিপ্লবই হতে চলেছেন আগামী মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রথম সারির বিজেপি নেতা নীতিন গড়কড়ি বিপ্লবের নামে সরকারি সিলমোহর দিলেন।

Updated By: Mar 6, 2018, 04:01 PM IST
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লব কুমার দেব

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপ্লব কুমার দেবই হতে চলেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরায় আড়াই দশকের বাম দুর্গ চুরমার করে ব্যপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি-আইপিএফটি। আর এই লড়াইয়ে গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয় ছিলেন বাঙালি বিপ্লব। বিপ্লব কুমার দেবই হতে চলেছেন বিজেপির প্রথম বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর 'সুস্থ সামাজিক জীবন' চান স্ত্রী নীতি

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিপ্লবের নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। দলের অন্দরে অনেকেই স্বীকারও করে নিয়েছিলেন যে, বিপ্লবই হতে চলেছেন আগামী মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রথম সারির বিজেপি নেতা নীতিন গড়কড়ি বিপ্লবের নামে সরকারি সিলমোহর দিলেন।

আরও পড়ুন- বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনায় মিষ্টি বিলি বাংলাদেশে

ত্রিপুরার ভূমিপুত্র বিপ্লব কুমার রায়ের পরিবারের আদি নিবাস বাংলাদেশের চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা। মুক্তি যুদ্ধের সময় বিপ্লবের বাবা হিরুধন দেব এবং মা মিনা রানি দেব সে দেশ ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে আসেন। বিপ্লবের শৈশব ও স্নাতক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাজীবন কেটেছে ত্রিপুরাতেই। কৈশর তথা যৌবনের শুরু থেকেই আরএসএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বিপ্লবের। পরবর্তীকালে দিল্লিতে গিয়ে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। এই সময় খানিক ছেদ পড়ে রাজনীতিতে। সেখানে জিম ইনস্ট্রাক্টরের পেশা বেছে নেন তরুণ বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবের মধ্যেই আগামী দিনের নেতাকে দেখেছিল গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় পালাবদলের পর ভেঙে দেওয়া হল লেনিনের মূর্তি

এরপর ত্রিপুরায় বাম শাসনে ধস নামাতে ও গেরুয়া সংগঠন গড়ে তুলতে রাজ্যে আসেন সুনীল দেওধর, রাম মাধব প্রমুখ। সে সময় রাজ্যে বিজেপির মুখের প্রয়োজন অনুভব করেন তাঁরা। সেই উদ্দেশ্যেই দিল্লি থেকে রাজ্যে নিয়ে আসা হয় বিপ্লব কুমার দেবকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর শুরু হয় মাটি আঁকড়ে লড়াই। সেই লড়াইয়েরই চূড়ান্ত ফল এসেছে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে। এবার সেই বিপ্লবের হাতেই মাতাদর্শগত লড়াই লড়ে জিতে নেওয়া ত্রিপুরার দায়িত্ব তুলে দিল মোদী-শাহের বিজেপি।

.