যৌনকর্মী হলেই তাঁকে ইচ্ছামত ধর্ষণ করা যায় না, রায় দিল্লির আদালতের

''যৌনকর্মী হলেই কাউকে ধর্ষণের অধিকার জন্মায় না কারোর।'' স্পষ্ট জানাল দিল্লির এক আদালত।  দিল্লিতে রুয়ান্ডার এক উদ্বাস্তু মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় চার অপরাধীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দেওয়ার সময় এই কথা জানান বিচারক কাবেরী বাভেজা।  

Updated By: Nov 13, 2014, 04:35 PM IST
যৌনকর্মী হলেই তাঁকে ইচ্ছামত ধর্ষণ করা যায় না, রায় দিল্লির আদালতের

নয়া দিল্লি: ''যৌনকর্মী হলেই কাউকে ধর্ষণের অধিকার জন্মায় না কারোর।'' স্পষ্ট জানাল দিল্লির এক আদালত।  দিল্লিতে রুয়ান্ডার এক উদ্বাস্তু মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় চার অপরাধীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দেওয়ার সময় এই কথা জানান বিচারক কাবেরী বাভেজা।  

দীপক, প্রবীণ, বিকাস ও অশোক নামের ৪ অভিযুক্ত আদালতে দাবি করেছিল নিগৃহীতা মহিলা আদতে একজন যৌনকর্মী। বেআইনিভাবে তিনি ভারতে এসেছেন এবং মিথ্যে মামলায় তাদেরকে ফাঁসাতে চাইছেন। যদিও আদালত অভিযুক্ত ৪ জনের এই দাবি সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে তাদেরকে অপরাধী সব্যস্ত করেছে।

আদালতে বিচারক জানিয়েছেন ''যদি ধরেও নেওয়া হয় নিগৃহীতা মহিলা যৌনকর্মী, তার মানেই ওই মহিলার সম্মতি ব্যাতীত তাঁর সঙ্গে যৌনকর্ম করার অধিকার জন্মায় না কারোর। এই ঘটনা ভারতীয় এভিডেন্স অ্যাক্টের ১১৪A সেকশন অনুযায়ী ধর্ষণই।''  

চার অপরাধীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬/৪(অপহরণ), ৩৭৬ (২) (জি) (গণধর্ষণ) এবং ৩৯২/৩৪ (ডাকাতি)-র মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর, উত্তর দিল্লির তিমারপুর অঞ্চলে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অপহরণ করে ওই চার ব্যক্তি। নিগৃহীতা মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে একটা গাড়িতে তুলে তাঁকে গণধর্ষণ করে তারা। এরপর আবার ওই মহিলাকে যমুনা নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর নিগৃহীতা মহিলাকে বেধড়ক পেটায় ওই চার অপরাধী। তাঁর মোবাইল ফোন, টাকা, ব্যাগ কেড়ে যমুনার তীরেই তাকে ফেলে রেখে যায় তারা।

একজন পথচারী ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। তিনিই ওই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের পরে গ্রেফতার করা হয়। ভদ্রমহিলার সব জিনিসপত্র চার ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

.