সিধুর মাথার দাম ৫ লক্ষ, ঘোষণা করল বজরং দল
ভিডিয়োতে বজরং দলের ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, 'ও একটা বিশ্বাসঘাতক। ও যা করেছে তার ক্ষমা নেই। ওর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করতে হবে।' ভিডিয়োয় সিধুকে গুরু গোবিন্দ সিংয়ের বাণীও মনে করিয়েছেন সঞ্জয়। তিনি বলেন,'মনে হয় সিধু গুরু গোবিন্দ সিংয়ের বাণী ভুলে গেছেন। যারা আমাদের জওয়ানদের মারছে, এমন শত্রু দেশের সেনাপ্রধানকে কী ভাবে আলিঙ্গন করতে পারেন সিধু।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসলামাবাদে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে সেদেশের সেনা প্রধানকে আলিঙ্গন করায় এবার নভজোত্ সিং সিধুর মাথার দাম ঘোষণা করল বজরং দল। সিধুকে হত্যা করতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। বজরং দলের আগরা জেলা সভাপতি সঞ্জয় জাটের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতেই এই ঘোষণা করতে দেখা যাচ্ছে বজরং দলের নেতাকে। এমনকী ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক-ও ভিডিওতে দেখান সঞ্জয় জাট। বলেন, যিনি নভজোত্ সিং সিধুকে মারতে পারবেন তিনি পাবেন এই চেক।
ভিডিয়োতে বজরং দলের ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, 'ও একটা বিশ্বাসঘাতক। ও যা করেছে তার ক্ষমা নেই। ওর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করতে হবে।' ভিডিয়োয় সিধুকে গুরু গোবিন্দ সিংয়ের বাণীও মনে করিয়েছেন সঞ্জয়। তিনি বলেন,'মনে হয় সিধু গুরু গোবিন্দ সিংয়ের বাণী ভুলে গেছেন। যারা আমাদের জওয়ানদের মারছে, এমন শত্রু দেশের সেনাপ্রধানকে কী ভাবে আলিঙ্গন করতে পারেন সিধু।'
সঞ্জয় জাটের দাবি, এই ঘটনায় দেশের মানুষের ভাবাবেগ আহত হয়েছে। বিশেষ করে শহিদদের পরিজনরা কষ্ট পেয়েছেন। সিধুর এই কাজ মাফ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।'
কংগ্রেস 'ভুল পথে পরিচালিত', রাহুলকে কড়া চিঠি অনিল আম্বানির
গত শনিবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফ নেতা ইমরান খান। সেই অনুষ্ঠানে ভারত থেকে সিধু ছাড়াও আমন্ত্রিত ছিলেন কপিল দেব ও সুনীল গাভস্কর। বাকি দু'জন না গেলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নভজোত্ সিং সিধু। সেখানেই পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গভর্নরের ঠিক পাশের আসনে বসেন সিধু। পাঞ্জাবের কংগ্রেসি সরকারের মন্ত্রীর এহেন আচরণে দেশ জুড়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। সমালোচনায় মুখর হয় বিভিন্ন সংগঠন। তাদের অভিযোগ, যে পাক সেনা প্রতিদিন আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে কোন আক্কেলে সেই বাহিনীর প্রধানকে আলিঙ্গন করলেন সিধু।
সিধুর এহেন আচরণের সমালোচনা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও। যদিও নিজের অবস্থানে অনড় সিধু। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি নিয়ে ইসলামাবাদ গিয়েছিলাম। আর আমি কী করব তা ঠিক করব আমিই।
ওদিকে সিধুর বিরুদ্ধে বিহারে দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলা। বিহারের মুজাফ্ফরপুর আদালতে সিধুর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি।