কেরলকে ৭০০ কোটি টাকার ত্রাণ দিল আরব আমিরশাহি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, “বন্যার জেরে ব্যাপক ধস, প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিচার করে কেরলকে গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘোষণা করা হচ্ছে।” কেরলের বন্যাকে শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম বন্যা বলে জানাচ্ছেন সে রাজ্যের মন্ত্রীই চন্দ্রশেখরন

Updated By: Aug 21, 2018, 02:32 PM IST
কেরলকে ৭০০ কোটি টাকার ত্রাণ দিল আরব আমিরশাহি
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রকে ছাপিয়ে বিদেশ থেকে বিপুল ত্রাণ পেল বন্যাবিধ্বস্ত কেরল। টাকার অঙ্কে ৭০০ কোটি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি মোটা অঙ্কের ত্রাণ পাঠাল কেরলের বন্যা দুর্গতদের জন্য। মঙ্গলবার এই খবর জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

দাবি ছিল, আপাতত চাই ২ হাজার কোটি টাকা। প্লাবনের ভয়াবহতা বিচার করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৯,৫০০ কোটি টাকার বলে অনুমান করছে সে রাজ্যের প্রশাসন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সাহায্য পেয়েছে কেন্দ্রের তরফে। অন্যান্য রাজ্যও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তবে, সোমবার হলফনামা দিয়ে কেরলকে ‘গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ বলে চিহ্নিত করে কেন্দ্র। ফলে, আশা করা যাচ্ছে কেন্দ্র থেকে আরও বেশি সাহায্য মিলবে।

আরও পড়ুন- যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে কেন আইনি পদক্ষেপ করা হবে না, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, “বন্যার জেরে ব্যাপক ধস, প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিচার করে কেরলকে গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘোষণা করা হচ্ছে।” কেরলের বন্যাকে শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম বন্যা বলে জানাচ্ছেন সে রাজ্যের মন্ত্রীই চন্দ্রশেখরন। তিনি জানান, দুর্যোগ কাটতে শুরু করেছে। ত্রাণ এবং পুনর্বাসনে এ বার জোর দেওয়া হচ্ছে। কেরলের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন- কংগ্রেস 'ভুল পথে পরিচালিত', রাহুলকে কড়া চিঠি অনিল আম্বানির

উল্লেখ্য, প্রায় ২০ লক্ষ ভারতীয় বসবাস করেন আরব আমিরশাহিতে। যা তাদের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। এছাড়া সেখানে কেরলের অধিবাসীরাই সংখ্যায় বেশি। আরব আমিরশাহির ভাইস প্রেসিডেন্ট টুইটে জানান, “কেরলের মানুষ আমাদের সঙ্গে বরাবর পাশে থেকেছেন। উন্নয়নের ভাগীদার হয়েছেন।” তাই এই ত্রাণ পাঠিয়ে কেরলের বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- দুর্গতদের বিস্কুট ছুড়ে বিতর্কে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দাদা

সোমবার থেকেই স্বাভাবিক হচ্ছে কেরল। তিরুবনন্তপুরম এবং এর্নাকুলামের মাঝে ২০০ কিলোমিটার ট্রেন চলাচল করেছে। ইডুক্কি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। কিছু এলাকায় এটিএম পরিষেবাও চালু হয়েছে। টেলিফোন এবং কেবল টিভি পরিষেবা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়েছে।

.