Antilia Bomb Scare Case: আম্বানির বাড়িতে বোমাকাণ্ডে প্রাক্তন পুলিসকর্তার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর, 'সুপ্রিম' নির্দেশে বাড়ল স্বস্তি
স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ অবশ্য জানিয়েছে, যেহেতু অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে তাই এটাই হবে শেষ মেয়াদ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অ্যান্টিলিয়া বোমা কাণ্ডে গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিস অফিসার প্রদীপ শর্মার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহ বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ অবশ্য জানিয়েছে, যেহেতু অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে তাই এটাই হবে শেষ মেয়াদ।
আরও পড়ুন, Manipur Violence: অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়, বিভীষিকার মণিপুর নিয়ে সংসদের মুখ খুললেন শাহ
এই সময়ের মধ্যে অস্ত্রোপচার না হলে প্রদীপ শর্মাকে দু'সপ্তাহ পরে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এদিন তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে বেঞ্চ জানায়, অন্তর্বর্তী জামিনের আর কোনও মেয়াদ বাড়ানো হবে না। রোহতগি জানিয়েছেন, ততক্ষণে স্ত্রীর অস্ত্রোপচার না হলে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁর রক্তচাপ স্থিতিশীল না থাকায় অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। বেঞ্চ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণের পরই আদালত তাঁর নিয়মিত জামিনের আবেদন গ্রহণ করবে।
এনআইএ-র তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বারবার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়াতে চাইছেন শর্মা। গত ২৬ জুন সুপ্রিম কোর্ট চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। গত ৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট তাঁর স্ত্রীকে অস্ত্রোপচার করাতে হবে বলে জানিয়ে তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নিম্ন আদালতের দেওয়া শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে শর্মাকে। গত ১৮ মে বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শর্মার আবেদনে নোটিস জারি করে আদালত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) যেভাবে এই মামলার তদন্ত করেছে, তাতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি এসইউভি-তে জিলেটিন স্টিক লাগানোর ঘটনায় বরখাস্ত পুলিসকর্মী শচীন ওয়াজের সঙ্গে জড়িত সহ-ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে এনআইএ-র তদন্ত নীরব ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০১২-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ মুম্বইয়ের আম্বানির বাড়ি 'অ্যান্টিলিয়া'র কাছে একটি বিস্ফোরক বোঝাই এসইউভি পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ মার্চ থানের একটি খাঁড়ি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই এসইউভি গাড়িটির মালিক ব্যবসায়ী হিরণকে। শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যিনি পুলিস অফিসার দয়া নায়েকের সঙ্গে বিজয় সালস্কর এবং রবীন্দ্রনাথ আঙরে মুম্বই পুলিসের এনকাউন্টার স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন। যারা অসংখ্য এনকাউন্টারে ৩০০ জনেরও বেশি অপরাধীকে হত্যা করেছে। অভিযোগ তিনি তার প্রাক্তন সহকর্মী ওয়াজেকে বলেছিলেন, হিরণকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন, Rapido: বাইক চালাতে চালাতেই হস্তমৈথুন র্যাপিডো চালকের! ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বর্ণণা দিলেন তরুণী