সর্বদলীয় বৈঠকে বাধার মুখে পড়তে পারে ধর্ষণ বিরোধী আইন

মহিলাদের নিরাপত্তা বারাতে ধর্ষণ বিরোধী আইন নিয়ে আজ বৈঠকে বসতে চলেছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। সম্মতিক্রমে সম্পর্কে যাওয়ার বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করায় সত বৃহস্পতিবার সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় মন্তিসভা।

Updated By: Mar 18, 2013, 10:52 AM IST

মহিলাদের নিরাপত্তা বারাতে ধর্ষণ বিরোধী আইন নিয়ে আজ বৈঠকে বসতে চলেছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। সম্মতিক্রমে সম্পর্কে যাওয়ার বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করায় সত বৃহস্পতিবার সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় মন্তিসভা।
তবে এই বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমস্যা। আপত্তি দেখাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। ইউপিএর পাশে থাকা সমাজবাদী পার্টিও বয়স কমানোর বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়েছে। সপা নেতা রাম গোপাল যাদব জানিয়েছেন, সংসদে ও সর্বদলীয় বৈঠকে বিলটি উত্থাপিত হলে তাঁরা আপত্তি জানাবেন।
বিজেপি মনে করছে মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়াতে এই আইনকে কঠোর করায় দেরি হওয়া উচিৎ নয়। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রস্তাবিত নতুন আইনের কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপিরও। ভারতীয় জনতা দলের এক প্রবীণ নেতার কথায়, "বিলের বেশিরভাগ ইস্যুতেই আমদের সহমত রয়েছে, তবে বয়স কমানোর বিষয়টিতে আমাদের অনেকেরই আপত্তি রয়েছে।"
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিল নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কেন্দ্রের তরফে ডাকা সর্বদল বৈঠক ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বিলের খসড়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠীর সব সুপারিশ মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। গত ১৪ মার্চ সমস্ত মতভেদ ঘুচিয়ে এবিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছোছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠী। বিলে সম্মতির ভিত্তিতে সহবাসের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হয়েছে।
যৌন নির্যাতন নয়, বিলে ধর্ষণ শব্দটিই উল্লেখ করা হবে। ইতিমধ্যেই বিল চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের জেরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কড়া আইন জারির দাবি ওঠে সারা দেশজুডে। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে তত্‍পর হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে বিল পাস হলে, সমাজে মহিলাদের ওপর পীড়ন বন্ধ করতে কতটা কার্যকর হবে নতুন এই আইন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। বাইশে মার্চের আগে এই বিলে সম্মতি জানাতে হবে সংসদকে। কারণ ওই দিনের পরেই সংসদের অধিবেশনে বিরতি।  

.