"উত্তরপ্রদেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন" : অমিত শাহ

সবেমাত্র স্বপ্নের ফলাফল পরিষ্কার হয়েছে। পদ্মশিবিরের মুখ্য ভোট সেনাপতি আমিত শাহ বসলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। এই জয়কে 'ঐতিহাসিক' আখ্যা দিলেন আর তার পরই ধেয়ে আসল সেই অনিবার্য প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশে এই ফলাফল কি ধরা দিল ধর্মীয় মেরুকরণের সেই চেনা ছকেই? প্রশ্ন পাওয়া মাত্রই সপাট কভার ড্রাইভ করলেন পোর খাওয়া রাজনীতিক অমিত শাহ। বললেন, "উত্তরপ্রদেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। আপনাদেরও (সাংবাদিকদের উদ্দেশে) উচিত এই প্রশ্নটিকে ঘরের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া"। তাঁর দাবি, মানুষ বিকাশের লক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদীর দলকে জিতিয়েছেন।

Updated By: Mar 11, 2017, 04:29 PM IST
"উত্তরপ্রদেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন" : অমিত শাহ

ওয়েব ডেস্ক: সবেমাত্র স্বপ্নের ফলাফল পরিষ্কার হয়েছে। পদ্মশিবিরের মুখ্য ভোট সেনাপতি আমিত শাহ বসলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। এই জয়কে 'ঐতিহাসিক' আখ্যা দিলেন আর তার পরই ধেয়ে আসল সেই অনিবার্য প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশে এই ফলাফল কি ধরা দিল ধর্মীয় মেরুকরণের সেই চেনা ছকেই? প্রশ্ন পাওয়া মাত্রই সপাট কভার ড্রাইভ করলেন পোর খাওয়া রাজনীতিক অমিত শাহ। বললেন, "উত্তরপ্রদেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। আপনাদেরও (সাংবাদিকদের উদ্দেশে) উচিত এই প্রশ্নটিকে ঘরের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া"। তাঁর দাবি, মানুষ বিকাশের লক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদীর দলকে জিতিয়েছেন।

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের ভোট প্রচারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখেই উঠে এসেছিল 'শ্মশান তৈরির আশ্বাস'। মোদীর বক্তব্য ছিল অখিলেশ সিং যাদবের সরকার কেবল 'একপেশেভাবে' মুসলিমদের কবরস্থানের জন্য জমি ও পরিকাঠামো বরাদ্দ করেছে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এলে হিন্দুরা 'শ্মশান তৈরির জন্যও সরকারি সাহায্য পাবেন'। কিছুদিন আগেও ভোট প্রচার চলাকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা মুখতার আব্বাস নাকভির গলায় শোনা গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের ভোটে মুসলিম প্রার্থী না দিতে পারার আক্ষেপ। যদিও তার পরেই তিনি বলেন, সরকার গড়তে পারলে উত্তরপ্রদেশের মুসলমানদের 'ক্ষতিপূরণ' করে দেওয়া হবে।

কিন্তু উত্তরপ্রদেশে কী হতে চলছে বিজেপির আগামী পদক্ষেপ? এই প্রশ্ন উঠতেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদবকে খোঁচা দিয়ে অমিতের সরস উত্তর, "কাম বোলতা হ্যায়"। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে "কাম বোলতা হ্যায়"-ই ছিল অখিলেশের প্রচারের অন্যতম 'ক্যাচলাইন'। এখন দেখার উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির ভবিষ্যত সত্যিই রাম-রহিম নিরপেক্ষ হতে পারে কিনা। (আরও পড়ুন- "মানুষ দুষ্টের অহঙ্কার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে জিতিয়েছেন ধর্মকে", বললেন সিধু)

.