প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না কেন? পাশ কাটালেন অমিত
রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, সাড়ে চার বছরে সাংবাদিক বৈঠক করেননি প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাড়ে চার বছরে কেন একটাও সাংবাদিক বৈঠক করেননি প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের সেই প্রশ্নই অমিত শাহকে করলেন সাংবাদিকরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে প্রশ্ন করা হল, জবাবদিহি এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদী-শাহ? এহেন প্রশ্ন শোনার পর অস্বস্তি পড়েন মোদীর সেনাপতি। পাশ কাটানোর চেষ্টাও করেন।
দিন কয়েক আগে রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি সব প্রশ্নের জবাব দেন। কিন্তু সাড়ে চার বছর ক্ষমতায় থেকে একটাও প্রশ্নের উত্তর দেননি নরেন্দ্র মোদী। উনি জবাব দিতে ভয় পান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। প্রশ্নোত্তর পর্বে অমিত শাহকে রাহুলের প্রশ্ন তুলে এব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া চান এক সাংবাদিক। প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অমিত শাহ। পরে জানান, এব্যাপারে জবাব দেবেন সম্বিত্ পাত্র। আরও একবার বলেন, ''দলের তরফে সম্বিত্ পাত্রই জবাব দেবেন''। যদিও অমিত শাহ সম্বিত বলেছেন, না সন্দীপ তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। শুনে মনে হয়েছে, সন্দীপ পাত্রই বলেছেন অমিত শাহ। বলে রাখি, সম্বিত্ পাত্র বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র। ইদানীং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের দৌলতে বেশ জনপ্রিয় মুখ সম্বিত্। অথচ তাঁর নামই জানেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। অতিসম্প্রতি রাজস্থানে দলীয় নেতা কুম্ভারামের নামে প্রকল্পকে 'কুম্ভকর্ণ লিফট যোজনা' বলে খোরাক হন রাহুল গান্ধী। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোঁচা দিয়েছিলেন, যিনি নিজের দলের নেতার নামই জানেন না, তিনি কীভাবে দেশ সামলাবেন!
#WATCH: BJP President Amit Shah when asked, 'Rahul Gandhi says PM has not held a single press conference in all these years' says,"Sambit Patra ji jawab denge Rahul ji ka, party ki ore se hi denge." pic.twitter.com/1nsfCHHKKf
— ANI (@ANI) December 7, 2018
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার কথায়, ''দেশে গণতন্ত্র নেই বলে মনে করেন শাহ। আইনকানুনের ঊর্ধ্বে নাকি প্রধানমন্ত্রী! এটা সরকারের স্বৈরাচারি মনোভাবেই প্রতিফলন''।
দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন,''পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে। গণতন্ত্রের প্রশাসন ও সরকারকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রের হত্যা করছেন''। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ''রাজনৈতিক হিংসায় পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। প্রথম নারীপাচারে। শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদানের নামে তোলাবাজি করছেন তৃণমূল নেতারা''। শুক্রবার কোচবিহার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিজেপির রথযাত্রা। উদ্বোধন করার কথা ছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। রাজ্য প্রশাসন রথযাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস মুক্ত হতে চলেছে দেশের উত্তর-পূর্ব, ইঙ্গিত সমীক্ষায়