একইদিনে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এয়ার ইন্ডিয়ার দুই বিমানের মদ্যপ চালক
বিমান ওড়ার আগের মুহূর্তে ধরা পড়ল পাইলট মদ্যপ।
![একইদিনে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এয়ার ইন্ডিয়ার দুই বিমানের মদ্যপ চালক একইদিনে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এয়ার ইন্ডিয়ার দুই বিমানের মদ্যপ চালক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/11/11/154523-734676-plane12.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বড় দুর্ঘটনা থেকে জোর রক্ষা। বিমান ওড়ার আগের মুহূর্তে ধরা পড়ল পাইলট মদ্যপ। তার জেরে এক ঘণ্টা ভুগতে হল লন্ডনমুখী এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীদের। আর একটি ঘটনায় ব্যাঙ্ককগামী বিমান ফিরে এল দিল্লিতে। কারণ সহকারী বিমানচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
রবিবার বিকেলে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওড়ার জন্য তৈরি ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার AI-111 উড়ান। বিমান ছাড়ার আগে জানা যায়, পাইলট মদ্যপ। পরপর দুবার ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে ফেল করেন পাইলট অরবিন্দ কাঠপালিয়া। মেডিক্যাল অফিসার জানান, তিনি বিমান চালানোর জন্য ফিট নন। বিকল্প পাইলট পেতে লেগে যায় প্রায় এক ঘণ্টা। ততক্ষণ ঠায় বসে থাকতে হয় যাত্রীদের। ডিজিসিএ-র এয়ারক্রাফ্ট রুলের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, উড়ানের ১২ ঘণ্টা আগে থাকতে পাইলট ও ক্রু মেম্বারদের অ্যালকোহল নেওয়া নিষিদ্ধ। এই নিয়ম লঙ্ঘন করে সিনিয়র পাইলট কাঠপালিয়া আগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তখন তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। কিন্তু তিনি যে শুধরোননি এদিনের ঘটনায় তা পরিষ্কার। দ্বিতীয়বার এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে ডিজিসিএ-র সাজা তিন মাসের জন্য ফ্লাইং লাইসেন্স বাতিল। তৃতীয়বার করলে পাকাপাকি ভাবে ফ্লাইং লাইসেন্স বাতিল। সোমবার কাঠপালিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ডিজিসিএ।
আর একটি ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ৩৩২ উড়ানের সহকারী পাইলট মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েছেন। এর ফলে ব্যাঙ্ককগামী বিমান ফিরে আসে দিল্লিতে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লি বিমানবন্দরে দিল্লি-কান্দাহার এফজি৩১২ বিমানটি ছাড়ার কথা ছিল দুপুর ৩.৩০ মিনিটে। ঠিক তখনই বিমান চালকের কাছ থেকে এল হাইজ্যাকের বিপদসংকেত। এরপরই শুরু হয় চূড়ান্ত তত্পরতা। নেমে পড়েন এনএসজি-র কম্যান্ডোরা। পরে জানা যায়, ভুল করে হাইজ্যাকের বোতাম টিপেছিলেন বিমানচালক। বিমানচালক ভুল করে সংকেত দেওয়ার দাবি করলেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। গোটা বিমানে চলে তল্লাশি।