ছত্তীসগঢ়ে সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে ১ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন, ড্রোনে নজরদারি

ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী হামলা ঠেকাতে কড়া নজরদারি প্রশাসনের। 

Updated By: Nov 11, 2018, 11:22 PM IST
ছত্তীসগঢ়ে সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে ১ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন, ড্রোনে নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদন: ছত্তীসগঢ়ের ৮টি জেলায় সোমবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে মাওবাদী অধ্যুষিত ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রই অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মোতায়েন রয়েছে প্রায় এক লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী। ছত্তিসগড়ে মাওবাদী মোকাবিলায় আধাসেনার পাশাপাশি আগেই ছিল দুশো কোম্পানি রাজ্য পুলিস। ভোটের কারণে আনা হয়েছে আরও বাহিনী। আধা সামরিক বাহিনী, সীমান্তরক্ষা বাহিনী, আটিবিপি এবং রাজ্য পুলিসের পঁয়ষট্টি হাজার কর্মী নিয়ে মোট ৬৫০ কোম্পানি। নির্যাসে একেবারে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছত্তীসগঢ়।

শুধু তো নিরাপত্তারক্ষীদের পৌছে দেওয়া নয়। বুথে বুথে পৌছে দিতে হবে ভোটকর্মীদেরও। প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে তাঁদের পৌছে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিএসএফ ও বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। মাওবাদীরা ইতিমধ্যেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। দিকে দিকে পড়েছে হুমকি পোস্টার। ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার গ্রামবাসীরা। গত দুসপ্তাহে তিনটি বড়সড় হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। চলে গিয়েছে ১৩টি প্রাণ। তার মধ্যে ৮ জনই নিরাপত্তারক্ষী। বস্তার, রাজনন্দগাঁওয়ে গত দশদিনে উদ্ধার হয়েছে তিনশোটিরও বেশি আইইডি। এই পরিস্থিতিতে ভোটারদের আস্থা ফেরাতে মরিয়া প্রশাসন।

ছত্তীসগঢ়ের বিশেষ ডিরেকটর জেনারেল (মাওবাদী মোকাবিল অভিযান) ডিএম অবস্তির কথায়,''প্রতিটি বুথকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই চ্যালেঞ্জ। তাঁদের বুথকেন্দ্রে পাঠানো, তারপর ফেরার বন্দোবস্ত করা থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা করাতে হবে''।  

আইইডি ব্যবহার করে নিরাপত্তা কর্মীদের টার্গেট করতে পারে মাওবাদীরা। সে কারণে প্রতিটি রাস্তার উপরে নজরদারি চলছে। পায়ে হেঁটে না নজরদারি চালানোর জন্য বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, রাস্তায় লোহার কাঁটা বিছিয়ে রাখতে পারে মাওবাদীরা। মাওবাদী হামলার আশঙ্কা এড়াতে ১৯৮টি বুথ অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে হয়েছে। আকাশে উড়ছে ড্রোন। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশার সীমানায় নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিসকে। 

৮ নভেম্বর দান্তেওয়াড়া জেলায় মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয় চার স্থানীয় বাসিন্দা ও এক সিআইএসএফ জওয়ানের। তার আগে ৩০ অক্টোবর মাও হামলায় শহিদ হন ৩ পুলিস কর্মী ও দূরদর্শনের এক ক্যামেরাম্যান। তার আগে ২৭ অক্টোবর শহিদ হন আধা সামরিক বাহিনীর ৪ জওয়ান ও আহত হন দুজন। আইইডি দিয়ে বাহিনীর বুলেটপ্রুফ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মাওবাদীরা। 

আরও পড়ুন- মোদী আরও শক্তিশালী হলে দেশে ফের সনাতন ধর্ম ও আরএসএসের শাসন শুরু হবে: খাড়গে

.