মুম্বই সন্ত্রাসে দোষী সাব্যস্ত আজমল আমির কসাভকে গত বছর একুশে নভেম্বর যে ভাবে ফাঁসি দেওয়া হযেছিল, ঠিক সেই রকম গোপনীয়তায় আরও একবার আফজল গুরুকেও ফাঁসি দেওয়া হল।
২০০১, ডিসেম্বর ১৩
দিল্লির সংসদ ভবন চত্বরে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালায় ৫ দুষ্কৃতি। এই জঙ্গীহানায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১৫ জন।
২০০১, ডিসেম্বর ১৫
এই ঘটনার দু'দিনের মাথায় দিল্লিতে একটি বাস থেকে ধরা হয় জম্মু কাশ্মীরের জঙ্গী সংগঠনের জৈশ-ই-মহম্মদ আফজল গুরুকে।
২০০১, ডিসেম্বর ২৯
আফজল গুরুকে ১০ দিনের পুলিস রিমান্ডে পাঠানো হয়।
২০০২, জুন ৪
আফজল গুরু, গিলানি, শওকত হুসেন গুরু ও অফসন গুরুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
২০০২, ডিসেম্বর ১৮
মৃত্যদণ্ড শোনানো হয় আফজল গুরু, গিলানি, শওকত হুসেন গুরুকে।
২০০৩, অক্টোবর ২৯
বেকসুর খালাস হন গিলানি।
২০০৫, অগাস্ট ৪
আফজল গুরুর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। শওকত হুসেন গুরু মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন হয়ে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০০৬, সেপ্টেম্বর ২৬
দিল্লি কোর্ট আফজল গুরুকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় দিল্লি আদালত।
২০০৬, অক্টোবর ৩
২০০৬-এর অক্টোবরেই আদেশ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আফজলের স্ত্রী তবসসুম গুরুর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের কাছে তার প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোয় তা পিছিয়ে যায়।
২০০৭, জানুয়ারি ১২
সুপ্রিম কোর্ট আফজল গুরুর প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেয়।
২০১০, মে ১৯
দিল্লি সরকার আফজল গুরুর প্রাণভিক্ষার পিটিশন খারিজ করে দেয়।
২০১০, ডিসেম্বর ৩০
তিহার জেল থেকে ছাড়া পেলেন শওকত হুসেন গুরু।
২০১২, ডিসেম্বর ১০
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে জানান সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার পর তিনি আফজল গুরুর ফাইল দেখবেন।
২০১৩, ফেব্রুয়ারি ৩
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি আফজল গুরুর প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেন।
২০১৩, ফেব্রুয়ারি ৪
আফজলের ফাঁসির আদেশে সই করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে।
২০১৩, ফেব্রুয়ারি ৮
কবে সেই আদেশ কার্যকর করা হবে তা ঠিক করার চূড়ান্ত দিন ধার্য করা হয়।
২০১৩, ফেব্রুয়ারি ৯
তিহার জেলে ফাঁসি হল আফজল গুরুর।
আফজল গুরু: টাইম লাইন