Sanjay Singh Suspended: মণিপুর নিয়ে সরব হতেই বহিষ্কৃত আপ সাংসদ; কতজনের গলা টিপে ধরবেন, ধনখড়কে নিশানা তৃণমূলের
Sanjay Singh Suspended: সঞ্জয় সিংয়ের সাসপেনশন নিয়ে সরব হয়েছেন ডেরেক ওব্রায়েন। ট্যুইট করে তিনি লেখেন, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করার রাজ্যসভায় বাদল অধিবেশনের বাকী দিনগুলি থেকে বহিষ্কার করা হল আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। এমন সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক পন্থা পদ্ধতির পরিপন্থী
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরে হিংসা গত ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপে থেকে তার আঁচ পাওয়া মুসকিল। সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ল সংসদের উভয় কক্ষে। প্রবল গন্ডগোলের মধ্যে লোকসভায় অমিত শাহ বললেন, মণিপুরের আসল সত্যিটা দেশের জানা উচিত। অন্যদিকে, এনিয়ে তোলপাড় হলও রাজ্য়সভাও। সেই গোলমালের জেরে বাদল অধিবেশন থেকে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে বহিষ্কার করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্য়ান। এনিয়ে তোলপাড় করল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়, বিভীষিকার মণিপুর নিয়ে সংসদের মুখ খুললেন শাহ
নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে সংসদের ভেতরে ও বাইরে সরব হয়েছে বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোট। এদিন রাজ্যসভায় মণিপুরের হিংসায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ওয়েল নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তাঁকে বলতে থাকেন, সিটে ফিরে যান। তা না হলে তাঁর ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঞ্জয় সিংয়ের পাশাপাশি মণিপুর নিয়ে সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনও। এর মধ্যেই সঞ্জয় সিংকে বরখাস্ত করার জন্য মোশন আনেন বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর দাবি সঞ্জয় সিং সদনের নিয়ম ও নীতি লঙ্ঘন করেছেন।
রাজ্যসভায় গোয়েল সওয়াল করেন, এরকম ব্যবহার ও আশান্তির করা সংসদের নীতি আদর্শের পরিপন্থী। সঞ্জয় সিংকে সাসপেন্ড করা হোক। পীয়ূষ গোয়েলের ওই কথা শুনে সদনের অন্যান্য সাংসদের মতামত নেওয়ার প্রস্তাব করেন। এরপরই বাদল অধিবেশনের বাকী অংশ থেকে সাসপেন্ড করা হয় আপ সাংসদকে। বিরোধীদের তুমুল হইচইয়ের মধ্যেই বেলা দুটো পর্যন্ত সংসদের কাজ স্থগিত করে দেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।
সঞ্জয় সিংয়ের সাসপেনশন নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে লেখা হয়, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করার রাজ্যসভায় বাদল অধিবেশনের বাকী দিনগুলি থেকে বহিষ্কার করা হল আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। এমন সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক পন্থা পদ্ধতির পরিপন্থী। এর থেকে প্রমাণ হয় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুর নিয়ে আলোচনা চায় না। আমাদের প্রশ্ন, কতজনের গলা আপনারা চেপে ধরবেন? কতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করবেন? সত্যিটা সাবার কাছে পরিস্কার। সরকারের অবহেলা সব দিক থেকে সামনে চলে আসছে।
দলের সাংসদের বহিষ্কারে সুর চড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। দলের সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেন, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান যা করেছেন তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। অধিবেশেন শেষ হওয়ার পর আমরা চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে ওই সাসপেনশন তুলে নিতে অনুরোধ করেছিলাম। আমাদের কথা শোনা হয়নি। সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠুভাবে সংসদ চালান করা উচিত চেয়ারম্যানের।