WATCH | Manusmriti: মনুস্মৃতি পুড়িয়ে সেই আগুনে সিগারেট জ্বালালেন মহিলা, সমালোচনার ঝড় নেটপাড়ায়
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি আমিষ জাতীয় খাবার খাই না এবং আমি ধূমপানও করি না’। তিনি আরও বলেন, ভিডিয়োতে তার কাজগুলি শুধুমাত্র এই বইয়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য করা হয়েছিল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একজন মহিলার মনুস্মৃতিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার এবং সেই জ্বলন্ত বইয়ের শিখা থেকে সিগারেট জ্বালানোর একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ২৭ বছর বয়সী প্রিয়া দাস নামে ওই মহিলা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) মহিলা সেলের রাজ্য সম্পাদক।
এরপরে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে প্রিয়া দাসকে মাটির উনুনে মুরগির মাংস রান্না করতে দেখা যাচ্ছে। এরপরে তিনি মনুস্মৃতির একটি বই নিয়ে আসেন এবং উনুনের আগুনে জ্বালিয়ে দেন। বইটি পুড়ে যাওয়ার সময় তিনি এর আগুন থেকে একটি সিগারেট জ্বালান।
मेरा उद्देश्य किसी की भावना को आहत पहुंचाना नहीं बल्कि बहुजन समाज में जागरूकता लाना है
जो ग्रंथ महिलाओं को समानता नहीं देता उसको जला देना ही उचित है? अंधविश्वास पाखंड वाद और ढोंग के विचारों पर वार करना मेरा उद्देश्य है? मनुस्मृति दहन बाबा साहब ने
25 दिसंबर 1927 की थी @Vndnason pic.twitter.com/W2j7PAxE2p— Shiv Kumar Chawla ASP (@shiv__ASP) March 6, 2023
কিন্তু কেন তিনি মনুস্মৃতি পোড়ালেন? প্রিয়া দাস বলেছিলেন যে এই বই অনুসারে, যদি কোনও মহিলা মদ পান করেন তাহলে তাঁকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে তাকে শাস্তি দেওয়ার আগে তার জাত নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি আমিষ জাতীয় খাবার খাই না এবং আমি ধূমপানও করি না’। তিনি আরও বলেন, ভিডিয়োতে তার কাজগুলি শুধুমাত্র এই বইয়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য করা হয়েছিল।
দলিত অধিকার কর্মী প্রিয়া দাসকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘মনুস্মৃতি পোড়ানো একটি কাজ - একটি সাময়িক ঘটনা। বাবাসাহেব আম্বেদকর অনেক আগেই এর পোড়ানোর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। মনুস্মৃতি পোড়ানোর উদ্দেশ্য কোনও একজনের প্রতি নয়। এটা ভন্ডামীর ধারণাকে আক্রমণ করার জন্য ছিল। এটাই ছিল আমার লক্ষ্য’।
আরও পড়ুন: Chattisgarh: বেকারদের জন্যে মাসে ২৫০০ টাকা ভাতা ঘোষণা এই রাজ্যে, কারা পাবেন ওই টাকা?
এটি কেবল শুরু, তিনি বলেন, এই ধরনের বই থাকা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ‘একজন ব্যক্তি বই থেকে জ্ঞান অর্জন করে। কিন্তু, এই বই মানুষকে বৈষম্য সেখায় ও বিভক্ত করে। তার জন্য, মানুষের উচিত এই ধরনের বইয়ের বিরুদ্ধে থাকা।
প্রিয়া দাস একজন শিক্ষক হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছেন এবং CTET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি পিএইচডি ডিগ্রির জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Modi on Hot weather: মার্চের শুরুতেই অসহ্য গরম, তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন মোদী
মনুস্মৃতিতে মানুষ ও নারী সম্পর্কে লেখা বেশ কিছু বিষয় যথাযথ নয় বলে প্রিয়া দাস দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এই বইয়ের প্রতিটি পাতা পুড়িয়ে দেওয়া উচিত’। তিনি বলেন, মনুস্মৃতি সমাজে বিরাজমান সমস্ত কুফলের মূল, দলিতদের এগিয়ে আসা উচিত এবং বইটির বিরোধিতা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘মনুস্মৃতিতে নারীদের জন্য অনেক কিছু নির্ধারণ করা হয়েছে, তারা কী করতে পারে আর কী পারে না। সিগারেট খেয়ে আমি এর প্রতিবাদ করেছি’।
কিন্তু তিনি তাঁর এই কাজের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভয় পাচ্ছেন কিনা সেই প্রশ্নে তিনি বলেন ‘আমি ইতিমধ্যে এগিয়ে এসেছি। মানুষ তাদের ইচ্ছা মত প্রতিক্রিয়া এবং কাজ করতে পারেন। আমি আর ভয় পাই না’।
এখনও পর্যন্ত, লক্ষাধিক মানুষ ট্যুইটারে ভিডিওটি দেখেছেন এবং বহু মানুষ প্রিয়া দাসের এই কাজের নিন্দা করেছেন।