শীতের দাপটে পাঁচ জেলায় সতর্কবার্তা, উত্তর ভারতে মৃত্যু ৭ জনের

প্রায় গোটা দেশে নামল শীত। উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত। প্রবল ঠান্ডায় উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে তিনজন বড়াবাঁকি জেলার বাসিন্দা। দু`জনের বাড়ি মুজাফফরনগরে। এছাড়া বারদোইয়ে একজন এবং বিজনৌরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল উত্তরপ্রদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি কম। পঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত পরিবহণও। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় দূরপাল্লার ট্রেনগুলি দেরিতে চলছে বলে রেল সূত্রের খবর।

Updated By: Dec 26, 2012, 09:54 AM IST

প্রায় গোটা দেশে নামল শীত। উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত। প্রবল ঠান্ডায় উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে তিনজন বড়াবাঁকি জেলার বাসিন্দা। দু`জনের বাড়ি মুজাফফরনগরে। এছাড়া বারদোইয়ে একজন এবং বিজনৌরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল উত্তরপ্রদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি কম। পঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত পরিবহণও। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় দূরপাল্লার ট্রেনগুলি দেরিতে চলছে বলে রেল সূত্রের খবর। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ১৬.২ ডিগ্রি। শীতে কাবু ঝাড়খণ্ডও। সেখানে এক ধাক্কায় পারদ নেমে গিয়েছে ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটাই এখনও পর্যন্ত চলতি মরশুমের সর্বনিম্ন। রাজধানী রাঁচির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইস্পাত নগরী জামশেদপুরে পারদ নেমে গিয়েছে ৮ ডিগ্রিতে। পালামৌতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন ৭.১ ডিগ্রি।
রাজ্যে আজ আরও জোরে কামড় বসালো শীত। আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে দু ডিগ্রি কম। গত ১০ বছরে ডিসেম্বরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই নিয়ে তৃতীয়বার এতটা নীচে নামল। চলতি মরশুমে কলকাতায় এটা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।  
দক্ষিণবঙ্গেও শীতের দাপট অব্যাহত। উত্তুরে হাওয়া বইছে দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন অংশে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নামছে তাপমাত্রার পারদ। দক্ষিণের জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বাঁকুড়ায়। বুধবার সকালে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের দিকে হাল্কা কুয়াশা ছিল জেলায়। বর্ধমান জুড়েও বইছে উত্তুরে হাওয়া। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়াতেও কামড় বসিয়েছে শীত। সকালে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল তাপমাত্রা। নদিয়াতে সকালে হাল্কা কুয়াশা থাকলেও তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
লাগাতার উত্তুরে হাওয়া ঢোকার কারণে রাজ্যে শীতের দাপট অব্যাহত। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে উত্তর দিনাজপুরে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও নেমে দাঁড়িয়েছে ৮.১ ডিগ্রি  সেলসিয়াস। দক্ষিণ দিনাজপুরে সকালের দিকে আকাশ মেঘলা থাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। ঠান্ডা কামড় বসিয়েছে মুর্শিদাবাদেও। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা ছিল। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালকা রোদের দেখা মিলেছে। একেবারে উল্টো ছবি মালদায়। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছিল মালদা। বেলা বাড়ার পরেও মেঘের কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি। হালকা হাওয়া রয়েছে। আজ সকালে মালদার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি, দুই জেলায় আকাশ আংশিক মেঘলা। তার সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া বইছে।

.