উত্তরপ্রদেশে চতুর্থ দফায় ভোট পড়ল ৫৭ শতাংশ

আগামী ৫ বছরের জন্য লখনউ-এর মসনদ কার হাতে যাচ্ছে? ৩ দফায় ১৭০টি আসনে নির্বাচনের পালা সাঙ্গ হওয়ার পরও চিত্রটা আদৌ স্পষ্ট হয়। এই চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার আবহের মধ্যেই রবিবার শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হল উত্তরপ্রদেশের ৭ দফার বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্ব। চতুর্থ দফায় উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশ।

Updated By: Feb 18, 2012, 04:57 PM IST

আগামী ৫ বছরের জন্য লখনউ-এর মসনদ কার হাতে যাচ্ছে? ৩ দফায় ১৭০টি আসনে নির্বাচনের পালা সাঙ্গ হওয়ার পরও চিত্রটা আদৌ স্পষ্ট হয়। এই চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার আবহের মধ্যেই রবিবার শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হল উত্তরপ্রদেশের ৭ দফার বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্ব। চতুর্থ দফায় উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশ।
হারদই, উন্নাও, রায়বরেলি, ফারুকাবাদ, ছত্রপতি শাহুজি মহারাজ নগর, কনৌজ, বান্দা, চিত্রকূট, ফতেপুর, প্রতাপগড় এবং লখনউ -তৃতীয় দফার ভোটে ইভিএম-বন্দি হল দক্ষিণ-মধ্য উত্তরপ্রদেশের এই ১১ জেলার ৫৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের জনমত। মোট ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭৪ লক্ষ। ১৮,৬০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভাগ্য নির্ধারিত হল ৯৬৭ জন প্রার্থীর। এঁদের মধ্যে ৩ জন বর্তমান মন্ত্রী, ৩২ বিধায়ক এবং ১২ জন প্রাক্তন মন্ত্রী। প্রার্থীদের মধ্যে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, দাঙ্গা-সহ নানা গুরুতর অভিযোগের ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী রীতা বহুগুণা যোশি (লখনউ-ক্যান্টনমেন্ট), বিজেপি'র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কলরাজ মিশ্র (লখনউ-পূর্ব), কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা প্রমোদ তিওয়ারি (রামপুর খাস), মায়াবতী ক্যাবিনেটের নগরোন্নয়নমন্ত্রী নকুল দুবে (বক্সি কা তালাও)  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল মান্নান (সান্ডিলা)। প্রতাপগড়ের কুন্ডা আসনে লড়ছেন কুখ্যাত মাফিয়া ডন রঘুরাজপ্রতাপ সিং ওরফে রাজা ভাইয়া। অন্যদিকে, চিত্রকূট জেলার কারভি বিধানসভা কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জনতার দরবারে ভাগ্যপরীক্ষায় নেমেছেন পুলিসি অভিযানে নিহত দস্যু-সর্দার দাদুয়া'র ছেলে বীর সিং। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুইস খুরশিদ (ফারুকাবাদ-সদর), বিজেপি সাংসদ লালজি ট্যান্ডনের ছেলে আশুতোষ ট্যান্ডন (লখনউ-উত্তর) আসনে প্রার্থী হয়েছেন। বিএসপি থেকে বহিষ্কৃত নরেশ আগরওয়াল নিজের ছেলে নিতিনকে হারদই-সদর কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী করছেন।
উত্তরপ্রদেশের জনতা আগামী ৫ বছরের জন্য রাজ্যপাট পরিচালনার দায়িত্ব কাদের হাতে তুললে দেবে, ৬ মার্চ তা জানা যাবে। তবে প্রথম দফায় প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও ভোটদানে মানুষের উত্‍সাহ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে সন্তোষজনক ভোটের হার থেকে ফলের দিশা সম্পর্কে একটা আগাম আঁচ পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। রাজ্যে `পরিবর্তন`-এর একটা চোরাস্রোত বইছে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে মিডিয়া। যদিও মায়াবতীর মুলুকে `অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর`-এর ফসল কোন দল ঘরে তুলবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ পর্যায়ে ১১ জেলার ৫৬ আসনের ভোট তাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.