মুম্বই সন্ত্রাসে মদত রাষ্ট্রযন্ত্রের, দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
মুম্বই হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আজমল কাসভদের নির্মম নরসংহারের দায় এড়াতে `নন স্টেট অ্যাক্টর`-এর যুক্তি তুলে ধরেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু আরব মুলুক থেকে আবু হামজার গ্রেফতারির পরই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে জারদারি সরকারের এই যুক্তি।
মুম্বই হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আজমল কাসভদের নির্মম নরসংহারের দায় এড়াতে `নন স্টেট অ্যাক্টর`-এর যুক্তি তুলে ধরেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু আরব মুলুক থেকে আবু হামজার গ্রেফতারির পরই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে জারদারি সরকারের এই যুক্তি। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পালানিয়াপ্পন চিদাম্বরম পাকিস্তানের নাম না করেই জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাষ্ট্রবিহীন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী নয়, ২৬/১১ কাণ্ডের নেপথ্যশক্তি হিসেবে কাজ করেছে পুরোদস্তুর রাষ্ট্রযন্ত্র। তাঁর দাবি, আবু জিন্দাল ওরফে আবু হামজাকে জেরা করে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিবিআই।
বুধবার কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুম্বই সন্ত্রাসের পিছনে রাষ্ট্রশক্তির একাংশের মদত সম্পর্কে আগাগোড়াই নিঃসংশয় ছিল নয়াদিল্লি। গত এক বছর ধরেই ভারতীয় গোয়েন্দারা আবু হামজা ওরফে আবু জিন্দালের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তুলে ধরেছেন, পাক সরকারের সক্রিয় মদতে ইন্টারপোলের `মোস্ট ওয়ান্টেড` তালিকায় থাকা দাউদ ইব্রাহিমের সে দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এবং তাজ প্যালেস-ওবেরয় ট্রাইডেন্ট-নরিম্যান হাউসে লস্কর জঙ্গিদের হামলার সময় করাচির কন্ট্রোল রুমে জামাত-উদ-দাওয়া নেতা হাফিজ মহম্মদ সইদের উপস্থিতির প্রসঙ্গ। চিদাম্বরমের বক্তব্যে স্পষ্ট, আজমল কাসভের পর আবু জিন্দালকে হাতে পাওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসের সূতিকাগার হিসেবে পাকিস্তানকে চিহ্নিত করার সুযোগ হাতছাড়া করবে না মনমোহন সরকার।