Vaishakh Amavasya: বৃহস্পতিবার বৈশাখী অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ, জানুন এদিন পিতৃ দোষ থেকে মুক্তির ৫ উপায়
Vaishakh Amavasya: এদিনে স্নান ও দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ পিতৃ দোষ কাটাতে এই তিথি ব্যবহার করার রীতি রয়েছে। বৈশাখী অমাবস্যায় পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্য পিন্ডদানও করা যেতে পারে। শ্রাদ্ধও করা যেতে পারে। এরফলে পূর্বপুরুষ উত্তরপুরুষদের উপতে তুষ্ট হন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার দেখা যাবে এক বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এইদিন এক বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে পৃথিবী। এই সূর্যগ্রহণের নামটিও অদ্ভূত-হাইব্রিড সোলার এক্লিপস। এর বিশেষত্ব হল এখানে সূর্যের আকৃতির থেকে চাঁদের ছায়া ছোট। ফলে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করতে পারে না। সূর্যের সোনালি বৃত্ত চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে চারপাশ থেকে দেখা যায়। মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে সোনালি বলয়ের সেই সূর্যকে দেখতে লাগে খানিকটা সোনার আংটির মতো। যদিও সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে হিরের আংটির প্রসঙ্গই বেশি ওঠে। আর এই দিনের বিশেষত্ব হল এদিনই হল বৈশাখী অমাবস্যা।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২ মাস জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক; আমজনতার কথা শুনবেন, রাত কাটাবেন গ্রামে
এদিন ভারতীয় সময় ভোর ৩টে ৩৪ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে এই গ্রহণ। এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করলে পিতৃপুরুষেরা তৃপ্ত হন, এবং মুক্তিলাভ করেন। খুবই পবিত্র ও পুণ্য এই তিথি। এমনিতেই হিন্দুধর্মে অমাবস্যার অশেষ গুরুত্ব। নতুন বাংলা বছরের প্রথম অমাবস্যা আগামী ২০ এপ্রিল। এদিনে স্নান ও দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ পিতৃ দোষ কাটাতে এই তিথি ব্যবহার করার রীতি রয়েছে।
কীভাবে বুঝবেন পিতৃ দোষ রয়েছে।
শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন বাড়িতে কোনও শুভ কাজে হঠাত্ কোনও বাধা এলে বুঝতে হবে পিতৃ দোষ আছে। বাড়িতে কলহের পরিস্থিতি থাকলেও পিতৃ দোষ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বিয়ের বহুদিন পরও সন্তান না হলেও পিতৃ দোষের কারণে তা হতে পারে।
কীভাবে কাটাবেন পিতৃ দোষ
বুধবার সকাল ১১টা ২৩ মিনিট থেকে এই অমাবস্য়া চলবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এইসময় পিতৃ দোষ কাটাতে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন শাস্ত্রজ্ঞরা।
পিতৃ দোষ থাকলে গোটা পরিবার তাতে প্রভাবিত হয়। এই দোষ থেকে বাঁচতে স্নান করে কুশ বাঁধতে হবে হাতে। এরপর পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে হবে।
স্নান করার পর পিতৃ স্তোত্র পাঠ করা যেতে পারে। এতে পূর্বপুরুষ খুশি হন। পরিবারের উপরে তাদের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।
বৈশাখী অমাবস্যায় পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্য পিন্ডদানও করা যেতে পারে। শ্রাদ্ধও করা যেতে পারে। এরফলে পূর্বপুরুষ উত্তরপুরুষদের উপতে তুষ্ট হন। তার ফলে ভোগ করতে পারেন পরিবারের লোকজন।
পূর্বপুরুষদের তুষ্ট করতে তাদের প্রিয় খাবার পশুপাখিদের খাওয়ানো যেতে পারে। মনে করা হয় এতেই তুষ্ট হন পূর্বপুরুষরা।
পূর্বপুরুষদের প্রিয় জিনিস গরিব ব্রাহ্মণদের উপহার দেওয়া যেতে পারে। তবে সবটুকুই করতে হবে শাস্ত্র মেনে।