করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে একাধিক সংস্থায় চালু ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’! তালিকায় Amazon, Facebook
শুধু সাংহাইতেই নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাতেও করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে Amazon আর Facebook-এর মতো বড় সংস্থায় ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালুও হয়ে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আতঙ্কের আর এক নাম নোভেল করোনাভাইরাস। তবে শুধু চিনেই থেমে, নেই সারা বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে COVID-19। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে করোনার স্বীকার। সারা বিশ্বে এই মুহুর্তে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ, নিহত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। ভারতেই এ পর্যন্ত ২৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। স্পর্শের মাধ্যমে দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়ছে এই মারণ ভাইরাস। ভাইরাসকে এড়িয়ে চলার জন্য অনেকেই বেছে নিচ্ছেন হ্যান্ডশেকের বদলে নমস্কার করে অভিবাদনের পদ্ধতি। কিন্তু কর্মব্যস্ত এই জীবনে আদৌ কি স্পর্শ এড়িয়ে চলা সম্ভব?
এই আতঙ্কের আবহে পথ দেখাচ্ছে চিনের ইন্টারপাবলিক গ্রূপ! প্রায় ৪০০ জন যুক্ত এই সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু করোনা আতঙ্কে হাজিরা গিয়ে দাড়িয়েছে প্রায় শূন্যয়। তা-ও আটকে নেই সংস্থার কাজ। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলভিন ফু বলছেন, “এটা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতির কার্যকারিতাকে যাচাই করে নেওয়ার একটা বড় সুযোগ।” তার কথা অনুযায়ি, এই পরিস্থিতিতে অফিস না এসেও ভিডিও কলের সাহায্যে কাজ করা সম্ভব। আর সে দিকেই এগোতে হবে চিন-সহ গোটা বিশ্বকে, করোনা মোকাবিলার জন্য।
শুধু সাংহাইতেই নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাতেও করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে Amazon আর Facebook-এর মতো বড় সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর পরামর্শ দিয়েছে। ইতিমধ্যে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালুও হয়ে গিয়েছে সেখানে।
একজন ব্যাঙ্ক কর্মীর বক্তব্য অনুযায়ি, তিনি যে কোনও জায়গায় শুধুমাত্র একটা ফোন আর ল্যাপটপ দিয়ে অফিসের সব কাজ করতে পারেন। অফিস যাওয়ার কোনও প্রয়োজনই পড়বে না। বি-প্লাস সংস্থার এমডি বলছেন, ৩০০ জন কর্মীকে নিয়ে এই কঠোর পরিস্থিতিতেও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: টাকার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস! সুরক্ষিত থাকতে ডিজিটাল লেনদেনের পরামর্শ WHO-এর
সাংহাইয়ের একজন জিম ট্রেনারের কথা অনুযায়ি, করোনা আতঙ্কে কেউ জিমে আসছেন না। কিন্তু তাতেও চিন্তার কোনও কারন নেই। এ ক্ষেত্রে উপদেশমূলক ভিডিও দেখেই ‘ওয়ার্কআউট ফ্রম হোম’ সম্ভব। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের আবহে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের একটা সুযোগ করে দিয়েছে। সময় বাঁচিয়ে এবং করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়িয়ে কাজের গতি ও মান বৃদ্ধিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতি কতটা কার্যকর, তা দেখে নেওয়া সম্ভব।