শুধু অভ্যাসটা বদলান তাহলেই আর নগদ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না
দেশজুড়ে নগদের আকাল। এই সঙ্কটকে সুযোগে বদলে ফেলতে পারেন আপনি। খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। মাত্র কয়েকটি অভ্যাস বদলে ফেললেই, নগদ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। কীভাবে? উপায় আপনার নাগালেই। দেখে নিন।
ওয়েব ডেস্ক: দেশজুড়ে নগদের আকাল। এই সঙ্কটকে সুযোগে বদলে ফেলতে পারেন আপনি। খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। মাত্র কয়েকটি অভ্যাস বদলে ফেললেই, নগদ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। কীভাবে? উপায় আপনার নাগালেই। দেখে নিন।
ATM-এ লাইন না দিয়ে ডেবিট কার্ডকেই সরাসরি কেনাকাটায় কাজে লাগান।
ATM কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটাও করতে পারবেন অনায়াসেই।
মোবাইল রিচার্জ, ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল ATM কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে মেটান। এজন্য আপনার প্রয়োজন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর।
আপনার মোবাইল নম্বরেই ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা OTP আসবে যা গোপন রাখুন
ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা সম্পূর্ণ নিরাপদ, আপনার তথ্য ফাঁস হবে না।
ব্যাঙ্কে যে শাখায় আপনার অ্যাকাউন্ট সেখান থেকে, কাস্টমার ID, নেট ব্যাঙ্কিং ID ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করুন, ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট খুলে নেট ব্যাঙ্কিংয়ে আপনার নম্বর রেজিস্ট্রেশন করান। আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টের পাসবই থেকে ফিক্সড ডিপোজিট সব প্রয়োজনই নেট ব্যাঙ্কিংয়ে মিটবে।
আরও পড়ুন- জেনে নিন কোন কয়েনটা কোথায় তৈরি হয়েছে
কারও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো বা কোনও বিল পেমেন্ট নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে অনায়াসে সম্ভব। নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
মোবাইল ব্যাঙ্কিং। নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মেড ইজি রূপ হচ্ছে মোবাইল ব্যাঙ্কিং, প্রয়োজন শুধু স্মার্টফোন। আপনার স্মার্টফোনে আপনার ব্যাঙ্কের App টি নামিয়ে ফেলুন। ব্যাঙ্কে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে, আপনার স্মার্ট ফোনে সেই সিমটি থাকতে হবে। স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করে হাতের মুঠোয় পাবেন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা
মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও সম্পূর্ণ নিরাপদ।
মোবাইল ওয়ালেট। মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের একটু ভিন্ন রূপ মোবাইল ওয়ালেট। মোবাইল ওয়ালেট আপনার স্মার্টফোনে একটি ভার্চুয়াল ওয়ালেট বা মানিব্যাগ। সব ব্যাঙ্কের ওয়ালেট রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থারও ওয়ালেট রয়েছে।
প্রথমে ডেবিট কার্ড কিংবা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু টাকা মোবাইল ওয়ালেটে রাখুন। অবাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য ওয়ালেটে সর্বাধিক ২০ হাজার টাকা রাখতে পারবেন। ছোটখাটো কেনাকাটার খরচ মোবাইল ওয়ালেট থেকে মেটাতে পারবেন।
মোবাইল ওয়ালেট সম্পূর্ণ নিরাপদ।
paytm-এ টাকা রেখে যাবতীয় খুচরো খরচ মেটাতে পারেন। টোটোর ভাড়া, ফুচকার দাম, মাছ-আলু-সবজির দাম থেকে ট্যাক্সি ও বাসভাড়া সবই মেটানো যাবে। ডাক্তারের ফি-ও paytm-এর মাধ্যমে মেটানো সম্ভব। যাঁকে টাকা দিচ্ছেন তাঁর কাছে paytm যন্ত্র থাকলেই লেনদেন সম্ভব।
কার্ড বা পিন নম্বর ছাড়াই UPI লেনদেন করা সম্ভব। ২৬ টি ব্যাঙ্ক ও বহু বেসরকারি সংস্থার UPI এর অ্যাপ রয়েছে। স্মার্টফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর নথিভুক্ত করিয়ে নিয়ে হবে।
নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে হাতে ধরা মোবাইল অ্যাপ দিয়ে নিমেষে লেনদেন করা যাবে
এটা সত্যি, রাতারাতি নগদহীন অর্থনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়া সম্ভব নয়। নেই অভ্যাসও নেই, সেই পরিকাঠামোও নেই। তবে পরিস্থিতির দাবি মেনে কিছু অভ্যাস বদলানো যেতেই পারে।
খুচরো কেনাকাটার অভ্যাস ত্যাগ করে মাসকাবারি বাজার একসঙ্গে কিনুন। দোকানদারকে চেক দিন কিংবা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করুন।
দোকানদারকে কার্ড সোয়াইপ মেশিন বা PoS রাখার জন্য উত্সাহিত করুন।
আরও পড়ুন- সবাই বাতিল নোট বদল করলেও এই মানুষটি সযত্নে কাছে রেখে দিচ্ছেন
অনলাইনে সবজি, মাছ কিনতে পারেন, বাজারদরের সঙ্গে দাম মিলিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
বাড়ির পরিচারক/পরিচারিকা, ড্রাইভার, ধোপাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরিতে উত্সাহ দিন।
বাড়ির কাজের লোকের বেতনও সরাসরি তাঁর বা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেলে দিন
সত্যিই ATM-এ লাইন দেওয়া ক্লান্তিকর অভিজ্ঞতা। কর্মদিবস নষ্ট করে ব্যাঙ্কে লাইন দেওয়াও যুক্তিহীন। নোট সঙ্কট কেটে গেলে কি ভুলে যাবেন আজকের কষ্টের দিনগুলোকে? নাকি, ফের যাতে ব্যাঙ্কে লাইন দিতে না হয় তার ব্যবস্থা করবেন? নগদহীন লেনদেনই কিন্তু আগামীদিনের অর্থনীতি। আপনি কতদিন মুখ ফিরিয়ে থাকবেন?