Bhoot Chaturdashi: এই ঘোরতর ভূত চতুর্দশীর দিনে চিনে নিন বাঙালি ভূতদের...

Bhoot Chaturdashi: ভূতের অতীত বা ভবিষ্যৎ ভুলে আসুন, এই ঘোরতর ভূত চতুর্দশীর দিনে আমরা ভূতের বর্তমানেই আকণ্ঠ মজি। আজ সন্ধে হলে তেনারাই তো আমাদের চারপাশে ঘুরঘুর করবেন!

Edited By: সৌমিত্র সেন | Updated By: Oct 23, 2022, 04:25 PM IST
Bhoot Chaturdashi: এই ঘোরতর ভূত চতুর্দশীর দিনে চিনে নিন বাঙালি ভূতদের...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথায় আছে, ঠিক 'দুক্কুর বেলা, ভূতেরা মারে ঢেলা'! তা দিনেরবেলা অবশ্য ভূতেরা তত 'দৃশ্য' নয়। ভূত মানেই অন্ধকার। সেই কবে এক মহাপুরুষ লিখেছিলেন-- অন্ধকার জমিয়া ভূত হয়! অন্ধকার না হলে ভূতেদের কাজই-বা কী? তখনই তো আদাড়-বাদাড়, বেলগাছ, শেওড়াগাছ, বনঝোপ থেকে দলে দলে বেরিয়ে পড়ে রাশি রাশি বেঁটে ভূত, মোটা ভূত, হোঁৎকা ভূত, মামদো ভূত, গেছো ভূত, মেছো ভূত এবং পেত্নি, শাঁকচুন্নি, ব্রহ্মদত্যিরা। আসুন, সমস্ত ভয়কে জয় করে আমরা বরং আজ এই সব বাঙালি ভূতেদের ভালো করে চিনে নিই; কেননা, আজ তো এঁরাই আমাদের চারপাশে ঘুরঘুর করবেন!

পেত্নি 

এ হল মানুষজন্মে অবিবাহিত। মরে গিয়ে অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। জলা জায়গা বা শ্যাওড়া গাছে বাসা বাঁধে। পা থাকে পিছনে ঘোরানো। 'ভুলভুলাইয়া টু' মনে করুন!  

শাঁকচুন্নি 

এরা বিবাহিতা। এদের সাদা অথবা লাল শাড়িতে দেখা যায়, হাতে শাঁখা-পলা থাকে। এরা পুকুরপাড়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। সুন্দরী বড়লোক ঘরের কোনও বউকে পেলে শাঁকচুন্নি ঝাঁপিয়ে পড়ে তার উপর। ঝাঁপিয়ে পড়ে, মানে, তার দেহে 'ভর' করে। যাতে সে (ওই শাঁকচুন্নি) তার বৈবাহিক জীবন আবার শুরু করতে পারে।

ব্রহ্মদৈত্য

ব্রাহ্মণেরা অপঘাতে মরলে ব্রহ্মদৈত্য হয়। পরনে ধুতি, খালি গা, গায়ে পৈতে। থাকে বেল গাছে। গাছের ডালে বসে বসে পা দোলায়।  

আরও পড়ুন: Bhoot Chaturdashi: কেন ভূত চতুর্দশীর দিনে খেতে হয় ১৪ শাক, সন্ধেবেলা জ্বালতেই হয় ১৪ প্রদীপ...

মামদো ভূত

মুসলমানদের অপঘাতে মৃত্যু হলে তারা হয় মামদো ভূত। মামদো নাকি 'মহম্মদ' থেকে এসেছে। মামদোরা ঘাড়ে চাপলে বলা হয় জিনে ধরেছে। মামদো ভূত থাকে পুরনো কবরস্থানের আশেপাশে।

স্কন্ধকাটা বা কবন্ধ

ট্রেন বা বাসে কাটা পড়লে যদি মুণ্ডচ্ছেদ হয়ে মৃত্যু হয়, তা হলে সে হল স্কন্ধকাটা ভূত৷ বা কবন্ধ ভূত। মনে করা হয়, নিজের কাটা মাথাটা খোঁজার জন্যেই পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে আসে এরা।

নিশি

'নিশি রাত বাঁকা চাঁদ'-এর ভরপুর রোম্যান্স নয়। এ হল রোম-খাড়া-করা ঘোরতর রোমাঞ্চ। রাতের অন্ধকারে মানুষের নাম ধরে ডাকে এই নিশি। সেই ডাকে সাড়া দিলে সে মানুষটিকে টেনে নিয়ে যায় ঘরের বাইরে, বাড়ির বাইরে, এলাকার বাইরে, আমাদের চেনা জগতের বাইরে। সেখানে কেউ নেই, কিছু নেই। শুধু ঘন গাঢ় অন্ধকার। সেই আঁধারে চিরকালের মতো হারিয়ে যেতে হয় নিশির ডাক শোনা সেই মানুষটিকে। মানুষের পৃথিবীতে তার হয় নাকো ফেরা।

আলেয়া

যেসব জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে মারা যান তাঁরা আলেয়াতে পরিণত হন। এটা এক ধরনের আলোর মতো। জলাভূমিতে দেখতে পাওয়া যায়। এরা সাধারণত অন্য জেলেদের মৃত্যু ঘটায়। অনেকে বলে, আলেয়া হারিয়ে যাওয়া পথিকদের আলো দেখিয়ে সঠিক পথে নিয়ে যায়। কিন্তু সেটা খুব বেশি মানুষ বিশ্বাস করে না।

মেছো ভূত 

মাছপ্রিয় বাঙালি মৃত্যুর পরও মাছের লোভ ছাড়তে না পারলে মেছোভূত হয়ে জলা-বিল-পুকুরের ধারে ঘোরে। রাতে বা ভরদুপুরে নির্জন রাস্তা দিয়ে কেউ মাছ কিনে ফিরলে এরা তাদের ঘাড়ে চেপে বসে। কথাই আছে, ঠিক 'দুক্কুর বেলা, ভূতে মারে ঢেলা'! 

গেছো ভূত
 
অধিকাংশ ভূতই তো গেছো। কেননা, ভূতেদের বেশিরভাগই গাছে থাকে। পেত্নি, ব্রহ্মদত্যি, মোটা, বেঁটে ভূত-- সবই তো গাছে থাকে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.