টাকের যত্ন নিন
টাক এমনই এক সমস্যা যার ফলে অকেকভাবে ঝামেলা পোহাতে হয় আমাদের। টাকের জন্য হাসির পাত্র হয়ে ওঠা যেমন অস্বস্তিকর তেমনই নিজের সৌন্দর্য্যে ঘাটতিও অনেকে মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু টাক নিয়ে লজ্জিত হওয়ার কিছুই নেই। বংশগত কারণ, যত্নের অভাব বা যে কোনও শারীরিক সমস্যাক কারণে চুল উঠে টাক পড়ে যেতেই পারে। তাতে দুঃখিত না হয়ে বরং যত্ন নিন টাকের। মনে রাখবেন, চুলের মতো টাকের যত্ন নেওয়াও কিন্তু জরুরি। যত্নের প্রভাবে টাক আপনার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিতে পারে। যা হয়ে উঠতে পারে আপনার স্বতন্ত্র স্টাইল স্টেটমেন্ট।
ওয়েব ডেস্ক: টাক এমনই এক সমস্যা যার ফলে অকেকভাবে ঝামেলা পোহাতে হয় আমাদের। টাকের জন্য হাসির পাত্র হয়ে ওঠা যেমন অস্বস্তিকর তেমনই নিজের সৌন্দর্য্যে ঘাটতিও অনেকে মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু টাক নিয়ে লজ্জিত হওয়ার কিছুই নেই। বংশগত কারণ, যত্নের অভাব বা যে কোনও শারীরিক সমস্যাক কারণে চুল উঠে টাক পড়ে যেতেই পারে। তাতে দুঃখিত না হয়ে বরং যত্ন নিন টাকের। মনে রাখবেন, চুলের মতো টাকের যত্ন নেওয়াও কিন্তু জরুরি। যত্নের প্রভাবে টাক আপনার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিতে পারে। যা হয়ে উঠতে পারে আপনার স্বতন্ত্র স্টাইল স্টেটমেন্ট।
জেনে নিন কীভাবে যত্ন নেবেন টাকের-
নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
টাক পড়ে গেলে ভাববেন না শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই। তেল ও ময়লা জমে টাক রুক্ষ্ণ হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় টাকের চামড়া উঠে সাদা, খসখসে দেখাতে পারে। তাই নিয়মিত টাক পরিষ্কার রাখা জরুরি। সাবান বা লিকুইড বডি সোপ ব্যবহার করলে টাক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। শরীরের ত্বকের সঙ্গে মাথার ত্বকের পার্থক্য রয়েছে। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করুন ও ভাল ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনার লাগান।
রোদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখুন
রোদে পোড়া টাক কিন্তু মোটেও ফ্যাশন নয়। উপরন্তু চুল মাথাকে রক্ষা করে। রোদের প্রভাবে তাই টাকের প্রভূত ক্ষতি হয়। গরমে ঘাম হয়ে চুলকুনির সমস্যাও দেখা দেয়। তাই শুধু রোদে নয়, মেঘলা দিয়েই এসপিএফ ৪০ যুক্ত হালকা সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন টাকে। ছাতা ব্যবহার করাও টাকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন
গোটা শরীরের ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা যেমন জরুরি, টাকের আর্দ্রতা বজায় রাখাও প্রয়োজন। তাই প্রচুর জল খান। ঘুমনোর সময় হালকা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিলেও টাকের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
স্কাল্প মাসাজ
অনেকে মনে করেন টাকে হাত বোলালে ভাগ্য খোলে। তবে টাক মাসাজ করলে স্ট্রেসতো অবশ্যই কমে। নিজের ১০ আঙুলের মাথা দিয়ে হালকা চাপ দিতে দিতে সারা মাথা মাসাজ করুন। কপাল থেকে শুরু করে ব্রহ্মতালুতে পৌঁছন, সেখান থেকে মাসাজ করতে করতে আস্তে আস্তে ঘাড়ের কাছে নেমে আসুন। আরাম যেমন পাবেন, তেমনই রক্তসঞ্চালন ভাল হয়ে টাকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়বে।
অনকে বন্ধুদের টাক নিয়ে খেলতে ভালবাসেন। যদি আপনার এমন কোনও বন্ধু থেকে থাকে তাহলে নম্রভাবে বারণ করুন। মনে রাখবেন, টাক কিন্তু চুলের থেকে অনেক বেশি সংবেদনশীল। হাতের ময়লায় ত্বকের ক্ষতি যেমন হবে, তেমনই বেকাদায় ব্যাথা পেয়ে যেতে পারেন। অন্যদিকে, টাকের কারণে যদি হাসির পাত্র হন তাহলেও বন্ধুদের বুঝিয়ে বলুন কেন আপনার টাক পড়েছে। কারণ, হাসির পাত্র হয়ে ওঠায় যদি আপনি অস্বস্তিতে ভোগেন তবে তা ছাপ ফেলবে আপনার ব্যক্তিত্বে, আত্মবিশ্বাস টাল খেতে পারে, যার প্রভাব পড়বে আপনার স্বাস্থ্যেও।