নিজস্ব প্রতিবেদন- শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে হুমকি ফোন করার অভিযোগে টালিগঞ্জ থেকে পলাশ বসু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিস। শুক্রবার আলিপুর আদালতে ধৃত যুবককে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করেছিল মুম্বই পুলিস। ট্রানসিট রিমান্ড-এ নিয়ে তাঁকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিস। অভিযুক্তকে ট্রানসিট রিমান্ড দিল আলিপুর আদালত। ১৪ তারিখ মুম্বই আদালতে তুলতে হবে তাঁকে। আর সাতদিনের মধ্যে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আলিপুর আদালতে জানাতে হবে মুম্বই পুলিশকে। জানা গিয়েছে, শুধু সঞ্জয় রাউত নয়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থাকরেকেও ফোন করে গালিগালাজ করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। উদ্ধব ঠাকরের ব্যক্তিগত সহায়ক কল রেকর্ড করে নেন।
পেশায় জিম ইন্সট্রাক্টর পলাশ বসু। দুবাইতে কাজ করেছেন দুবছর। ফোনে দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে সঞ্জয় রাউত ও উদ্ধব ঠাকরেকে হুমকি দেন তিনি। অভিযুক্তের আইনজীবী অনির্বান গুহঠাকুরতা জানিয়েছেন, মুম্বইতে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে বাকযুদ্ধের পর সঞ্জয় রাউত একটি হুমকি ফোন পান। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল মুম্বই আন্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। সঞ্জয় রাউত অভিযোগ জানান, অভিযুক্ত একজন জিম ইন্সট্রাক্টর। আইনজীবী প্রশ্ন করেন, এটা যে ধরণের মামলা তাতে মুম্বই ATS-কে কেন যুক্ত করা হল?
আরও পড়ুন- কঙ্গনা রানাউত প্রসঙ্গে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে হুমকি ফোন, টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার যুবক
অভিযুক্তের বাড়িতে ল্যাপটপ, মোবাইল ও দুটো সিম (একটা ইন্টারন্যাশনাল)পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া আর কোনও তথ্য-প্রমান পাওয়া যায়নি। কঙ্গনার নাম রয়েছে বলেই কি এতো অতিসক্রিয়তা? সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, 505 ছাড়াও 506 পার্ট 2 ধারা দেওয়া হয়েছে। কারণ অভিযুক্ত হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ''আমি দাউদ গ্যাং-এর মেম্বার।'' এখানে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠে আসছে। Ip এড্রেস ধরে ট্রেস করা হয় অভিযুক্তকে। যাদবপুর থেকে এই কল হয়েছে বলে জানতে পারে মুম্বই পুলিশ। যেই সিম থেকে এই কল করা হয়, সেটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সঞ্জয় রাউত শুধু নন, উদ্ধব ঠাকরেকেও ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন টালিগঞ্জের অভিযুক্ত