‘অসভ্য যাদবপুরের কিছু পড়ুয়া, প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীই’, বিস্ফোরক বাবুল
বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের কথায়, প্রধানমন্ত্রী বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তা দিয়েছেন। কিন্তু এখন সব জায়গায় ‘মমতা গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে তাঁকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর CAA নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে থাকল দিনভর। বিরোধীরা বলছেন, বেলুড় মঠকে রাজনীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীকে আরও নানা কটাক্ষ বিঁধতে থাকেন সেলিম-অধীররা। সামাল দিতে ময়দানে নামলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তোপ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে। বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর দু-মুখো ভাবমূর্তি ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের কথায়, প্রধানমন্ত্রী বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তা দিয়েছেন। কিন্তু এখন সব জায়গায় ‘মমতা গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি মহম্মদ সেলিমকে কটাক্ষ করে পরামর্শ দেন, পড়ুয়াদের এভাবে জীবন নষ্ট করবেন না। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী কলকাতা পা দেওয়া মাত্রই কংগ্রেস-সিপিএম-সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কালো পতাকা, বেলুন, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তোলে, “মোদী গো-ব্যাক”। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে, পড়ুয়ারা আরও ক্ষিপ্ত হন। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে শুরু করলে, মুখ্যমন্ত্রীকেও ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। তাতে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হন বলে জানা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি এনআরসি-সিএএ বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন। তার পরেও পড়ুয়াদের এমন আচরণ শোভনীয় নয়।
আরও পড়ুন- CAA-তে একটা অংশ দেখান যেখানে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শাহর
যাদবপুরের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়ো। এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পড়ুয়াদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। বাবুল এ দিন বলেন, যাদবপুরকে রাজনীতির আখড়া বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু অসভ্য ছেলেমেয়ে এই কাজ করছে। আর তাদের প্রশয় দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুরের পড়ুয়াদের আন্দোলনকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই।