শহরের আলাদা দুই জায়গায় দুই মহিলার খুন একই কায়দায়

মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন। ঠিক গিরিশ পার্কের প্রতিমা মাইতির মত একই কায়দায় খুন করা হয়েছে বাগুইআটির সুভদ্রা হালদারকে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অন্তত তেমনটাই বলছে। রাজু সাউ নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। জেরা করা হয়েছে সুভদ্রার স্বামীকে। মুম্বই থেকে জেরার জন্য ডাকা হয়েছে সুভদ্রার বন্ধু দীপক সিংকেও।

Updated By: Jun 3, 2015, 09:31 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন। ঠিক গিরিশ পার্কের প্রতিমা মাইতির মত একই কায়দায় খুন করা হয়েছে বাগুইআটির সুভদ্রা হালদারকে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অন্তত তেমনটাই বলছে। রাজু সাউ নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। জেরা করা হয়েছে সুভদ্রার স্বামীকে। মুম্বই থেকে জেরার জন্য ডাকা হয়েছে সুভদ্রার বন্ধু দীপক সিংকেও।

বাগুইআটি হত্যাকাণ্ড
বন্ধ ঘরে দেহ
মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত
পরে শ্বাসরোধ করে খুন

গিরিশ পার্কের প্রতিমা মাইতির পর বাগুইআটির সোনিয়া সিং ওরফে সুভদ্রা হালদার। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাস কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই মহিলার দেহ।  পৃথক দুটি হত্যাকাণ্ড। কিন্তু খুনের ধরনে প্রায় এক।

মঙ্গলবার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় সুভদ্রার দেহ। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে,
শৌচাগারে থাকাকালীন আক্রান্ত হন সুভদ্রা।
প্রথমে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। ওই ধাতব অস্ত্রের গায়ে কাপড় বা রবার জড়ানো ছিল।
অজ্ঞান সুভদ্রাকে এরপর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
নেই কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই মৃত্যু।
পুলিসের অনুমান, আততায়ী সুভদ্রার পরিচিত ছিল। ময়নাতদন্তে মৃতের পাকস্থলীতে কোনও খাবার মেলেনি। তদন্তকারীদের অনুমান, খাওয়ার অনেক পরে আচমকাই খুন করা হয় সুভদ্রাকে।

প্রতিমা এবং সুভদ্রা দুজনেই একা থাকতেন। দুজনেই জড়িয়ে পড়েছিলেন একাধিক সম্পর্কের জটিলতায়।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা সুভদ্রা মাত্র ষোলো বছর বয়সে পাচার হয়ে যায় নিষিদ্ধ পল্লীতে। নাম হয় সোনিয়া। সাত বছর আগে দীপক সিংয়ের সঙ্গে যৌনপল্লী থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। বাগুইআটির ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করলেও বিয়ে করেননি। দীপকের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর রাজু সাউ আসে তার জীবনে। কিন্তু সুভদ্রা তাকে বিয়ে করতে চাইলেও, সুভদ্রা যৌনকর্মী হওয়ায় বিয়েতে রাজি হয়নি রাজু। এরপর জিতেন সাহার  সঙ্গে পরিচয় হয় সুভদ্রার। অতীত জীবনের কথা গোপন করে কয়েকদিন আগে জিতেনকে বিয়েও করেছিলেন তিনি। যদিও  পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য, তাই ছাড়েননি নিজের পুরনো পেশা। খুনের দুদিন আগে দিনভর সুভদ্রার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ছিল সোনাগাছি।

জিতেন সাহাকে জেরা করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রাজু সাউকেও।

 

.