মন্ত্রিসভা থেকে সরে না আসার ইঙ্গিত তৃণমূলের বৈঠকে
ছিল জোট ছেরে বেরিয়ে আসার হুমকি। রাস্তায় নেমে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরোধিতা করতেও ছাড়েনি ইউপিএর বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। এতদসত্ত্বেও মঙ্গলবার কর্যকরী কমিটির বৈঠকে সরকার ছেড়ে বেরিয়ে না আসার সিদ্ধান্তই বজায় রাখতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছিল জোট ছেরে বেরিয়ে আসার হুমকি। রাস্তায় নেমে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরোধিতা করতেও ছাড়েনি ইউপিএর বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। এতদসত্ত্বেও মঙ্গলবার কর্যকরী কমিটির বৈঠকে সরকার ছেড়ে বেরিয়ে না আসার সিদ্ধান্তই বজায় রাখতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জরুরী বৈঠকে বসেছেন সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিং। মমতা যাতে এখনই সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউপিকে অস্বস্তিতে না ফেলে তার জন্য সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলের তরফেও যোগাযোগ করা হয়নি বলে জনাইয়েছেন তৃণমূল নেতারা। যদিও, এখনও খোদ প্রধানন্ত্রীর ফোনের অপেক্ষায় রয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এরমধ্যেই ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এমতাবস্থায় দিল্লির রাজনীতি থকে সরে এসে অস্তিত্ত্ব সংকটে পড়তে চাইছে না তৃণমূল। সম্ভবত সেই সমীকরণ থেকেই এখনই কোনও 'কঠিন' সিদ্ধান্ত নিতে বিরত থাকছেন তাঁরা। অন্তত রাজনৈতিক সূত্রে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এফডিআই, এলপিজি, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগে তৃণমূল কংগ্রেস। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে কেন্দ্রকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিল তৃণমূল। গতকালই শেষ হয়ে গিয়েছে সেই সময়সীমা। এরপরই রণকৌশল স্থির করতে মঙ্গলবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসেছে তৃণমূল। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নাকি শুধুই বিক্ষোভ-আন্দোলন। কী সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল? তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। বৈঠক শেষে কী বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল।