উপস্থিতির হার কম, ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল উত্তর-দক্ষিণের দুই কলেজ
উপস্থিতির হার নিয়ে কলেজ চত্ত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উপস্থিতির হার নিয়ে কলেজ চত্ত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা। সাউথ সিটি কলেজে উত্তেজনা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ছাত্রদের। ব্যারিকেড ভাঙল ছাত্ররা। কলেজ চত্বরে মোতায়েন পুলিস। এদিকে, একই পরিস্থিতি উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজেও। সেখানেও ৬০ শতাংশ উপস্থিতির হার না থাকায় বহু ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষা বসতে দেওয়া হয় না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এক জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর। অভিযোগ, ইউনিয়নের ‘দাদা’রা তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।
সকালে প্রথম পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাউথ সিটি কলেজ গেটের বাইরে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, বিক্ষোভকারী প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কলেজে উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশের নীচে। তাদের দাবি, মুচলেকা দিয়ে অন্তত ফর্ম ফিল আপ করতে দেওয়া হোক।
প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। পরে কলেজ চত্বরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিস। পুলিস দেখা মাত্রই আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। পরে যাদের উপস্থিতির হার ষাট শতাংশের বেশি, তাদের কলেজের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই নোটিস দিয়ে ক্লাস সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পয়লা ডিসেম্বর ফের শুরু হবে ক্লাস।
অন্যদিকে, উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজেই পরীক্ষায় বসতে না পারার কারণে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রছাত্রীরা। তারা প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে দেখা করতে চায়। কিন্তু প্রিন্সিপ্যাল তাতে রাজি না হওয়ায় তারা ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের দাবি, ইউনিয়নের ‘দাদা’রাই প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের বলেছিলেন, ২ টো ক্লাস করলেই তারা পরীক্ষায় বসতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখায় তারা। ইউনিয়নরুমেই এক বিক্ষোভকারী ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।