Teacher Recruitment Case: শিক্ষক নিয়োগে কী ধরনের দুর্নীতির কথা জানতেন, ইডির জেরার মুখে প্রাক্তন মন্ত্রী
এসএসসির প্যানেলে মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম না থাকলেও তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। খোদ আদালতের মন্তব্য, কোনও প্রভাবশালী শক্তি এর পেছনে থাকতে পারে
বিক্রম দাস: মেয়ের শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। এমনকি আদালতের রায়ে তার বেতনের সব টাকা ফেরতও দিতে হয়েছে। এবার শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইডির দফতরে ডাক পড়ল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। শিক্ষক নিয়োগে কী ধরনের দুর্নীতির কথা তিনি জানেন, প্রভাব খাটিয়ে মেয়ের চাকরি করে দিয়েছিলেন কিনা তা নিয়েই তিনি এবার ইডির জেরার সম্মুখীন প্রাক্তন এই মন্ত্রী। এই প্রথম তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত সংস্থা। সোমবার সকাল এগারোটা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডির আধিকারীকরা।
আরও পড়ুন-ইসিএল কর্তার গোপন জবানবন্দিতেই লুকিয়ে কয়লাপাচারের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র?
ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগে উপদেষ্টা কমিটি ও ভুয়ো সুপারিশপত্র নিয়ে পরেশ কী জানেন তা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কি কোনও সুপারিশ করেছিলেন? চাকরির সুপারিশের ক্ষেত্রে কি কোনও টাকা পয়সার লেনদেন হয়েছিল? শিক্ষক নিয়োগে বিপুল টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নাম উঠে এসেছে পরেশ অধিকাররীর। এখনওপর্যন্ত যেসব তথ্যপ্রমাণ ইডির হাতে এসেছে তার মধ্যে রয়েছে এক আধিকারীকের বয়ান। তাঁর মুখ থেকেই প্রথম পরেশ অধিকারীর নাম উঠে আসে। তার পরেই পরেশ অধিকারীকে তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, এসএসসির প্যানেলে মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম না থাকলেও তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। খোদ আদালতের মন্তব্য, কোনও প্রভাবশালী শক্তি এর পেছনে থাকতে পারে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিবিআই দফতর থেকে ডাক আসে তার। তদন্ত হয়। আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি এতদিন তিনি যে মাইনে পেয়েছেন তার সবটাই ২ দফায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
এর আগে গত ১৯ ও ২০ মে পরেশ অধিকারীকে জেরা করে সিবিআই। আগের দিনের জেরায় অসংগতি থাকায় তাঁকে ফের ডাকা হয়। কম নম্বর পেলেও মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াই নয়, কোনওরম পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ পান মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যাকে সরিয়ে মন্ত্রীকন্যা চাকরি পান, সেই ববিতা সরকারের দায়ের করা মামলাতেই বেকায়দায় পড়ে যান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী।