কুকথার পরম্পরায় সকলকেই পিছনে ফেলেছেন তাপস পাল, পাশে রইল দল
রাজ্যে কুকথার রাজনীতির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। বাম আমলের একাধিক নেতামন্ত্রী থেকে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরাও বিরোধীদের বিঁধতে গিয়ে বারবার শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছেন। মহিলাদের সম্পর্কে কদর্য মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সব সীমারেখা পেরিয়ে নজির গড়েছেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। তাঁর মন্তব্য ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়লেও নির্বিকার প্রশাসন। রাজনীতি করতে গিয়ে মহিলাদের সম্পর্কে অশালীন কথা বলার নজির সম্প্রতি কালে অজস্র।
রাজ্যে কুকথার রাজনীতির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। বাম আমলের একাধিক নেতামন্ত্রী থেকে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরাও বিরোধীদের বিঁধতে গিয়ে বারবার শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছেন। মহিলাদের সম্পর্কে কদর্য মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সব সীমারেখা পেরিয়ে নজির গড়েছেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। তাঁর মন্তব্য ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়লেও নির্বিকার প্রশাসন। রাজনীতি করতে গিয়ে মহিলাদের সম্পর্কে অশালীন কথা বলার নজির সম্প্রতি কালে অজস্র।
নন্দীগ্রামে আন্দোলনের সময় দুহাজার সাত সালে সিপিআইএমের কৃষক নেতা বিনয় কোঙার বলেছিলেন, মেধা পাটেকর যদি নন্দীগ্রামে যান, তাহলে মহিলা কমরেডরা ওঁকে পশ্চাত্দেশ দেখাবেন।
এই মন্তব্যের পরে দল- প্রশাসন কেউই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। ২০১১ সালে হুগলির আরামবাগে সাংসদ অনিল বসুর মন্তব্য অস্বস্তি বাড়িয়েছিল সিপিআইএমের। তত্কালীন সিপিআইএম সাংসদ বলেছিলেন, সোনাগাছির মেয়েরা বড় পয়সাওলা বাবু এলে আর ছোটবাবুদের দিকে তাকায় না। মমতাকে আমেরিকা টাকা দিচ্ছে, ও চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর টাকা নেবে কেন? বড়বাবু জুটে গিয়েছে তো!
গালিগালাজের রাজনীতিতে বাদ যাননি আনিসুর রহমানও। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য অনিল বসু ও আনিসুর রহমানকে দল শোকজ করে। পরে ক্ষমাও চেয়ে নেন আনিসুর রহমান। বাম আমলের পরে তৃণমূল আমলেও কুকথার রাজনীতির যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই দৌড়ে এক ঝটকায় সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তাপস পাল। কিন্তু শুধু ক্ষমা চেয়েই পার পেয়ে যাবেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ? ফৌজদারি দণ্ডবিধি প্রয়োগ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সরকারই বা কি করছে?