তাপস পাল মামলার সিদ্ধান্ত তৃতীয় বিচারপতির হাতেই ছাড়ল ডিভিশন বেঞ্চ
তাপস পাল মামলায় নতুন কোনও ব্যাখায় গেল না ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃতীয় বিচারপতি। বিচারপতিদের মধ্যে সবকটি ধারা নিয়েই মতভেদ থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
ওয়েব ডেস্ক: তাপস পাল মামলায় নতুন কোনও ব্যাখায় গেল না ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃতীয় বিচারপতি। বিচারপতিদের মধ্যে সবকটি ধারা নিয়েই মতভেদ থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে স্থগিতাদেশ রয়েছে তার মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। কিন্তু,সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দেন বিচারপতি।
তাপস পাল কাণ্ডে হাইকোর্টের সমালোচনা সত্ত্বেও অভিযুক্ত সাংসদের পাশেই দাঁড়ায় রাজ্য। আদালতের নজরদারিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবারে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য।
সাংসদের এই কদর্য বয়ান সামনে আসার পরই তাপস পালের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিল সমাজের বিভিন্ন মহল। যদিও দল ও সরকার যে তৃণমূল সাংসদের পাশেই রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই অবশ্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন তাপস পাল। কিন্তু সেই চিঠিতেও ছিল বিভ্রান্তি। চোদ্দই জুন নদিয়ার চৌমাহায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তাপস পাল। যদিও ওই ভিডিওটি লোকসভা ভোটের অনেক আগের বলে চিঠিতে দাবি করেন তিনি।
তবুও সেই চিঠি দিয়েই তখনকার মতো তাপসপাল কাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শাস্তি দূরে থাক, টাউনহলে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়। সংসদের বাজেট অধিবেশনেও দেখা যায়নি অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তাপস পাল।
এর আগে অনুব্রত মণ্ডল বা মনিরুল ইসলামের মতো অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তির দাবি আমল দেয়নি তৃণমূল । এমনকী হাইকোর্টের সমালোচনা সত্ত্বেও বার বারই সেইসব অভিযুক্তদের পাশেই দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবারে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর সরকারি সিদ্ধান্ত ফের বুঝিয়ে দিল, তাপস পাল কাণ্ডেও সেই ট্র্যাডিশনের নড়চড় হচ্ছে না।