Primary TET: ২১ কোটির তোলাবাজি, লোক পাঠিয়ে টাকা তুলতেন মানিক! বিস্ফোরক তাপস
২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত।
বিক্রম দাস: বিস্ফোরক দাবি তাপস মণ্ডলের। লোক পাঠিয়ে তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে ঘুষের টাকা তুলতেন মানিক ভট্টাচার্য! ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন,'মানিক লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা বলেছে, অফিস থেকে ফাইল ও টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে প্রাপ্য তো দিতেই হত।'
তাপস মণ্ডলের কথা থেকেই স্পষ্ট যে অফলাইনে ভর্তির জন্য টাকা তোলা হয়েছিল। আর সেই ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভর্তি সংক্রান্ত নথি-ই আজ ইডি দফতরে জমা দিতে আসেন তাপস মণ্ডল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদেই তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণের হদিশ পান তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেয় ইডি। বুধবার তাঁকে তলব করে ইডি। সেই অনুযায়ী-ই আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। কীভাবে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবারের কাছে ঘুষের টাকা আসত, তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে সেটাই জানতে চায় ইডি।
এদিন ইডি দফতরে ঢোকার সময় তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, 'ডকুমেন্টস নিয়ে এসেছি। অফলাইনে যেগুলো বলেছিলেন, সেগুলো চেয়েছেন, সেগুলো দিতে যাচ্ছি। অফিস থেকে উনি লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা তাই বলেছেন। অফিস থেকে ফাইল এবং টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। মানিকবাবু লোক পাঠাতেন। অফলাইনে ফিসটা তো দিতেই হত।' ইডি সূত্রে খবর, ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত।