তাপস পাল ইস্যুতে হাইকোর্টে চরম অপদস্ত রাজ্য সরকার

কলকাতা: তাপস পাল মন্তব্য বিতর্ক মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী নির্দেশের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যেতে গিয়ে চরম অপদস্ত হল রাজ্য।

Updated By: Jul 30, 2014, 12:05 PM IST
তাপস পাল ইস্যুতে হাইকোর্টে চরম অপদস্ত রাজ্য সরকার

কলকাতা: তাপস পাল মন্তব্য বিতর্ক মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী নির্দেশের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যেতে গিয়ে চরম অপদস্ত হল রাজ্য। প্রথমে যে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য, সেই বেঞ্চের বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ারই নেই তাঁদের।

এরপর বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্তের বেঞ্চে মামলা নিয়ে গেলে বিচারপতি বললেন, আবেদনকারীকে নোটিস দেওয়ার পরই মামলা গ্রহণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুপুর দুটোয় মামলা গ্রহণ হল কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তাপস পাল কাণ্ডে হাইকোর্টের সমালোচনা সত্ত্বেও আরও একবার অভিযুক্ত সাংসদের পাশেই দাঁড়ায় রাজ্য। সোম়বারই ওই ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।  এবারে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য।

সাংসদের এই কদর্য বয়ান সামনে আসার পরই তাপস পালের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিল সমাজের বিভিন্ন মহল। যদিও দল ও সরকার যে তৃণমূল সাংসদের পাশেই রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই অবশ্য  নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন তাপস পাল। কিন্তু সেই চিঠিতেও ছিল বিভ্রান্তি। চোদ্দই জুন নদিয়ার চৌমাহায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তাপস পাল। যদিও ওই ভিডিওটি লোকসভা ভোটের অনেক আগের বলে চিঠিতে দাবি করেন তিনি।

 
তবুও সেই চিঠি দিয়েই তখনকার মতো তাপসপাল কাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শাস্তি দূরে থাক, টাউনহলে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের  বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়। সংসদের বাজেট অধিবেশনেও দেখা যায় না অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তাপস পাল। ফের তিনি খবরে আসেন রবিবার।  

বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সঙ্গে।  তার ঠিক একদিন পরই সোমবার অন্তর্বতী  নির্দেশে তাপস পালের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এবারে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।

এর আগে অনুব্রত মণ্ডল বা মনিরুল ইসলামের মতো অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তির দাবি আমল দেয়নি তৃণমূল । এমনকী হাইকোর্টের সমালোচনা সত্ত্বেও বার বারই সেইসব অভিযুক্তদের পাশেই দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবারে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর সরকারি সিদ্ধান্ত ফের বুঝিয়ে দিল, তাপস পাল কাণ্ডেও  সেই ট্র্যাডিশনের নড়চড় হচ্ছে না।

 

 

.