অস্তিত্ব জাহির করতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল, তা নিয়ে পড়াশোনাও শুরু করে দিয়েছিল ইজাজ!

   নিজের সংগঠনের অস্তিত্ব বোঝাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল ইজাজ। তা নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনাও শুরু করে দিয়েছে সে। তদন্তকারীদের জেরায় উঠে এসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Updated By: Aug 28, 2019, 01:05 PM IST
অস্তিত্ব জাহির করতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল, তা নিয়ে পড়াশোনাও শুরু করে দিয়েছিল ইজাজ!

নিজস্ব প্রতিবেদন:   নিজের সংগঠনের অস্তিত্ব বোঝাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল ইজাজ। তা নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনাও শুরু করে দিয়েছে সে। তদন্তকারীদের জেরায় উঠে এসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

কেন ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা?

 

জেরাতে ইজাজ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে জেএমবি-র মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেএমবি-তে একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়। অপর গোষ্ঠীর নেতৃত্বে থাকে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল চক্রী কওসর। কওসর এরপর তার উত্তরসুরী হিসাবে মহম্মদ ইজাজকে ভারতে জেএমবি-র মাথা করতে চায়। কিন্তু তাতে বাধা দেয় সালাউদ্দিন। কারণ ইজাজ ভারতীয়, সে বীরভূমের বাসিন্দা। কওসর ও সালাউদ্দিনের মধ্যে আরও দ্বন্দ্ব বাড়ে। সেক্ষেত্রে সংগঠনের কাছে নিজের অস্বিত্ব প্রমাণ করতেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করে ইজাজ।

এই কাজে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন যুবককে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকায় ইজাজ। সীমান্ত লাগোয়া কিছু মাদ্রাসাতে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় বলে জেরায় জানা গিয়েছে। এই যুবকদের হদিস পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

মালকিন চেন খুলতেই, পার্কে জার্মান শেফার্ডের কামড়ে রক্তাক্ত প্রাতঃভ্রমণকারী মহিলা!

জেএমবি-র প্রতিষ্ঠাতা সালাউদ্দিন ভারতে এসেছিল ২০১৬-১৭ সালে। তার লোকেশন ছিল ধূলিয়ান, বেঙ্গালুরু আর শেষে কর্ণাটক। বাংলাদেশে সালাউদ্দিনকে বলা হয় ‘বাংলার বাঘ’। এখনও পর্যন্ত ওর অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি।

জেরায় ইজাজ জানিয়েছে, সালাউদ্দিনের খাস লোক আব্দুল করিম তার বিশ্বস্ত সদস্য ঢুকিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী বানানোর দায়িত্ব নিয়েছে। তদন্তকারীদের এবার টার্গেট হল সালাউদ্দিন সালেহ।

ইজাজের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও রশিদ উদ্ধার হয়েছে। তাতে বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ উল্লেখ রয়েছে। সেইসব নথি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় ইজাজকে। আদালতে দাঁড়িয়ে জঙ্গিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে ইজাজ। তাকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

.