ব্যর্থ গোপন অভিযান, ফ্যান্সি মার্কেটে নকল মোবাইলের কারবারীদের ধরতে এসে খালি হাতেই দিল্লি ফিরলেন কোর্ট অফিসাররা

গোপন অভিযানের আগেই তথ্য ফাঁস। ফলে নকল মোবাইলের কারবারীদের ধরতে এসে কার্যত খালি হাতে ফিরতে হল দিল্লির কোর্ট অফিসারদের। কলকাতার ফ্যান্সি মার্কেট এলাকায় নকল মোবাইল এবং অ্যাকসেসরিজ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল স্যামসাঙ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তল্লাসি অভিযানের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সকাল থেকে সাজো সাজো রব। RAF, পুলিসে ছয়লাপ গোটা খিদিরপুর, ওয়াটগঞ্জ এলাকা। কলকাতার প্রায় সব থানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বাহিনী। তদারকির দায়িত্বে একঝাঁক ডেপুটি এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিস অফিসার। উদ্দেশ্য ফ্যান্সি মার্কেট এলাকায় নামি সংস্থার নকল মোবাইলের কারবারিদের ধরা। বেলা বারোটা নাগাদ, দিল্লি হাইকোর্টের নিয়োগ করা এগারোজন কোর্ট অফিসার আসতেই শুরু হয় অভিযান। কিন্তু ততক্ষণে ঝাঁপ নামিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন সন্দেহভাজন কারবারিরা। যেসব দোকান খোলা ছিল, সেখান থেকে উধাও নকল মাল। ফ্যান্সি প্লাজা, আসমা অ্যাপার্টমেন্ট, এমকে প্লাজা সর্বত্রই এক ছবি। বন্ধ দোকান ঘরের মালিকদের খুঁজে না পেয়ে গ্যাস কাটার দিয়ে শাটার কেটে ভেতরে ঢোকে পুলিস। সেখানেও কার্যত কিছুই মেলেনি।

Updated By: Aug 22, 2015, 08:33 PM IST
ব্যর্থ গোপন অভিযান, ফ্যান্সি মার্কেটে নকল মোবাইলের কারবারীদের ধরতে এসে খালি হাতেই দিল্লি ফিরলেন কোর্ট অফিসাররা

ব্যুরো: গোপন অভিযানের আগেই তথ্য ফাঁস। ফলে নকল মোবাইলের কারবারীদের ধরতে এসে কার্যত খালি হাতে ফিরতে হল দিল্লির কোর্ট অফিসারদের। কলকাতার ফ্যান্সি মার্কেট এলাকায় নকল মোবাইল এবং অ্যাকসেসরিজ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল স্যামসাঙ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তল্লাসি অভিযানের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সকাল থেকে সাজো সাজো রব। RAF, পুলিসে ছয়লাপ গোটা খিদিরপুর, ওয়াটগঞ্জ এলাকা। কলকাতার প্রায় সব থানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বাহিনী। তদারকির দায়িত্বে একঝাঁক ডেপুটি এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিস অফিসার। উদ্দেশ্য ফ্যান্সি মার্কেট এলাকায় নামি সংস্থার নকল মোবাইলের কারবারিদের ধরা। বেলা বারোটা নাগাদ, দিল্লি হাইকোর্টের নিয়োগ করা এগারোজন কোর্ট অফিসার আসতেই শুরু হয় অভিযান। কিন্তু ততক্ষণে ঝাঁপ নামিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন সন্দেহভাজন কারবারিরা। যেসব দোকান খোলা ছিল, সেখান থেকে উধাও নকল মাল। ফ্যান্সি প্লাজা, আসমা অ্যাপার্টমেন্ট, এমকে প্লাজা সর্বত্রই এক ছবি। বন্ধ দোকান ঘরের মালিকদের খুঁজে না পেয়ে গ্যাস কাটার দিয়ে শাটার কেটে ভেতরে ঢোকে পুলিস। সেখানেও কার্যত কিছুই মেলেনি।

অতীতে ফ্যান্সি মার্কেটে অভিযান চালাতে এসে বার তিনেক একশ্রেণির ব্যবসায়ীদের হাতে আক্রান্ত হন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা। মার খেতে হয়েছিল কলকাতা পুলিসকেও। এবার তাই বাড়তি সতর্কতা ছিল।  তাও কীভাবে আগাম ফাঁস হল অভিযানের খবর? অভিযানের সঙ্গে যুক্ত কোর্ট অফিসারদের একাংশের অনুমান, তথ্য ফাঁস হয়ে থাকতে পারে, পুলিস মহল থেকেই। তাঁদের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন কলকাতা পুলিসের কর্তারা। ২৪ ঘণ্টার জন্য সঞ্জীব সাহার সঙ্গে সন্দীপ সরকারের রিপোর্ট, কলকাতা।

.