ভাগাড়ের পচা মাংসকাণ্ডে আন্তর্জাতিক যোগ, জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃতদের
ধৃতদের দাবি অনুযায়ী, মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের কথা মাথায় রেখেই ভাগাড় থেকে পশুর মৃতদেহ তোলা হত। বাংলাদেশ বা নেপালের মতো দেশে সস্তা মাংসের চাহিদাই এই কারবারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাগাড়কাণ্ডে এবার মিলল আন্তর্জাতিক যোগ। শুধু এই শহর, রাজ্য বা ভিনরাজ্যেই নয়, ধৃতদের জেরা করে জানা গেল, এই পচা গলা মাংস রীতিমত রফতানি করা হত। বৃহস্পতিবার রাতে ভাগাড় কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সানি মালিক-সহ অন্যান্যদের গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করে বজবজ থানার পুলিস। সেই জেরাতেই এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করে ধৃতরা।
ধৃতদের দাবি অনুযায়ী, মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের কথা মাথায় রেখেই ভাগাড় থেকে পশুর মৃতদেহ তোলা হত। বাংলাদেশ বা নেপালের মতো দেশে সস্তা মাংসের চাহিদাই এই কারবারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই মাংস 'প্রসেসড মিট' বা 'প্যাকেজড মিট' হিসাবে পৌঁছে যেত বিদেশের বাজারে। আর এই মাংসের আসল বৃত্তান্ত না জেনেই সে দেশের মানুষ অম্লান বদনে এই পচা-গলা মাংসের সসেজ বা মিট বল মুখে তোলেন তাঁরা।
শুধু বিদেশই নয়, দেশের বাজারেও এই মাংসের চাহিদা রয়েছে। তবে, খোলা বাজারে সাধারণত এই পচা গলা 'প্রসেসড মিট' চলে না, মূলত সুদৃশ্য প্যাকেটে 'ফ্রজেন' অবতারেই দেখা মেলে এগুলির।
কীভাবে চলে এই কারবার?
ভাগাড়ে পশুর মৃতদেহ পড়লেই খবর চলে যেত এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের কাছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভাগাড়ে পৌঁছে যেত ফ্রিজার ব্যবস্থা রয়েছে এমন গাড়ি। সেই গাড়িতে করে পশপর মৃতদেহ চলে যায় কারখানায়। কারখানায় প্রথমেই মৃতদেহকে বিভিন্ন আকারের টুকরোতে কেটে ফেলা হয়। এরপর যাতে পচন দীর্ঘায়িত করতে চর্বি বাদ দেওয়া হয় মাংস থেকে। তারপর মাংসে নান রকম রাসায়নিক মাখিয়ে -৪৪ ডিগ্রি উষ্ণতায় ফ্রিজিং করা হয়। এরপর সেই মাংস পাঠিয়ে দেওয়া হয় গোডাউনে। সেই গোডাউন থেকেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছাপ দেওয়া প্যাকেটে ওইসব মাংস পাড়ি দেয় দেশ-বিদেশের বাজারে। এবার দেখুন-