লোকসভায় রাজ্যে পদ্ম ফুটাতে সৌমিত্র-র বাড়িতে রাহুল
অসন্তোষ একটি বিষয়ে, মোদী সরকারের কোন মূল্যায়ন করলেন বামপন্থী অভিনেতা?
নিজস্ব প্রতিবেদন : লক্ষ্য ২০১৯। দ্বিতীয়বার মোদী সরকার গড়তে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির। আর সেকারণেই দেশজুড়ে 'সম্পর্কযাত্রা' শুরু করেছে বিজেপি। সেই কর্মসূচি পালনেই এবার এরাজ্যে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ঘনিষ্ঠ মহলে বাম মনোভাবাপন্ন হিসেবে পরিচিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গেরুয়া শিবিরের দরবার নিঃসন্দেহে যে তাত্পর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গেছে, এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়ে কথা হয় দুজনের মধ্যে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে রাহুল সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, একমাত্র নোটবাতিল ইস্যুতেই 'বিরক্তি' প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। এছাড়া মোদী সরকারের অন্য কোনও নীতি নিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কোনওরকম আপত্তি জানাননি বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, ড্রাইভারের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতা' মালিকের স্ত্রীর! দিঘায় হোটেলের বন্ধ ঘরে ঘটল এঘটনা
উল্লেখ্য, গত ৪ বছরে কেন্দ্রে মোদী সরকারের মূল্যায়ন জানতে দেশজুড়ে 'সম্পর্কযাত্রা' কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ জ্ঞানীগুণী মানুষদের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। 'আচ্ছে দিন' সরকারের ভালো-মন্দ সম্পর্কে পরামর্শ নেওয়াই তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে পদ্ম শিবির। যদিও ওয়াকিফহল মহলের মতে, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বিজেপির জনসংযোগের নয়া চাল।
এরাজ্যেও ১০০ জনের নামের তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, এরাজ্যে বুদ্ধিজীবীদের কিছুটা দূরেই সরিয়ে রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু বাংলায় বিজেপির ঘাঁটি শক্ত করতে বুদ্ধিজীবীদের বাদ দিয়ে যে জনমানসে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব নয়, তা উপলব্ধি করেছে নেতৃত্ব। আর তারপরই এরাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের কাছে টানার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যে ২২টি আসনকে পাখির চোখ করেছে রাজ্য বিজেপি।