গ্রেফতার ঋতব্রত, অধরা প্রেসিডেন্সি কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতারা
দিল্লি কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রেসিডেন্সি কাণ্ডে এখনও মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের নিয়ে নীরব দর্শক কলকাতা পুলিস। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এ রাজ্য নিরপেক্ষতা এখন শুধু মুখের কথা? ৯ এপ্রিল, দিল্লিতে আমিত মিত্রকে হেনস্থার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছিলেন সকল অংশের মানুষ। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ঘটনার সময় যাদের ছবি দেখা গিয়েছিল, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ছবিতে দেখতে পাওয়া এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে সোমবার গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস।
দিল্লি কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রেসিডেন্সি কাণ্ডে এখনও মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের নিয়ে নীরব দর্শক কলকাতা পুলিস। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এ রাজ্য নিরপেক্ষতা এখন শুধু মুখের কথা?
৯ এপ্রিল, দিল্লিতে আমিত মিত্রকে হেনস্থার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছিলেন সকল অংশের মানুষ। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ঘটনার সময় যাদের ছবি দেখা গিয়েছিল, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ছবিতে দেখতে পাওয়া এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে সোমবার গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস।
দিল্লি কাণ্ডের ঠিক একদিন পর ফের একবার নিন্দা সরব হয়েছিল সভ্য সমাজ। ১০ এপ্রিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল একদল দুষ্কৃতী। তাঁদের হাতে ছিল শাসকদল তৃণমূলের পতাকা। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হল ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন বেকার ল্যাব। মার খেলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ছবিতে স্পষ্ট দেখা গেল, গোটা ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ বসু, টিএমসিপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ, তথাগত সাহা প্রমুখের।
ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১২ দিন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সূত্রের খবর, নেতাদের একজনকেও এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিস। এমনকি দেবর্ষি চক্রবর্তীর দায়ের করা জামিনযোগ্য ধারায় অভিযোগের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ের করা জামিন অযোগ্য ধারার অভিযোগকে যুক্ত করেনি পুলিস। ফলে সহজেই জামিন পেয়ে যান পার্থ বসু ও তমোঘ্ন ঘোষ।
ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, দিল্লি পুলিস যে পদক্ষেপ নিতে পারে, কলকাতা পুলিস কেন তা পারে না? এটাই কি নিরপেক্ষ তদন্তের নমুনা!