ব্যাঙের ছাতার মতো চিটফান্ড, সর্বনাশের পথে রাজ্যবাসী
শুধু সারদা গোষ্ঠী নয়, জেলায় জেলায় ভুইফোঁড় সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু মানুষ। সারদার চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন জেলায় গা ঢাকা দিতে শুরু করেছেন ওই সব সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ওইসব অফিসে ঝুলছে তালা।
শুধু সারদা গোষ্ঠী নয়, জেলায় জেলায় ভুইফোঁড় সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু মানুষ। সারদার চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন জেলায় গা ঢাকা দিতে শুরু করেছেন ওই সব সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ওইসব অফিসে ঝুলছে তালা।
আদিত্য গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের একটি সংস্থা। গুরুগম্ভীর নামের আড়ালে আসলে চিটফান্ড। প্রায় চার হাজার জন টাকা রেখেছেন এই সংস্থায়। এদিন সকালে আমানতকারীরা হাজির হন বালুরঘাট শহরের বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এই অফিসে। অফিস তালাবন্ধ। উধাও সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা।
শিবশঙ্কর অ্যাগ্রোভেট লিমিটেড। ঠিকানা দেবীনগর, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি। সংস্থার মালিক শশাঙ্ক রায় বসুনিয়া। তিনিই এজেন্ট। তাঁর বাড়িতেই সংস্থার অফিস। তিনিই আবার ব্লক তৃণমূল সভাপতি। এক লক্ষ টকা জমা দিলে প্রথম মাসে ফেরত চোদ্দ হাজার টাকা। পরের দুমাসে পাঁচ হাজার করে সুদ দশ হাজার টাকা। এরপর? শশাঙ্কবাবু ভরসা দিয়েছিলেন, ধাপে ধাপে টাকা ফেরত দেওয়া হবে সুদ সমেত। ইতিমধ্যে টাকা রেখেছেন বারোশজন। এদিন টাকা ফেরত চাইতে আমানতকারীরা হাজির হয়েছিলেন শশাঙ্ক রায় বসুনিয়ার বাড়িতে। খোঁজ মেলেনি তাঁর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসবই হিমশৈলের চূড়া। শাসকদলের প্রকাশ্য কিংবা প্রচ্ছন্ন মদতে জেলায় জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এই সব সংস্থা সর্বনাশের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। টাকা কি ফেরত পাওয়া যাবে। দোষীদের শাস্তি কি হবে। এমনই সব অস্বস্তিকর প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সাধারণ মানুষ।