পোশাক বিতর্কে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্সির আন্দোলন
গতকাল ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন উপাচার্য। আজ রবিবারও বিক্ষোভে অনড় ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্য না থাকা সত্ত্বেও চলছে অবস্থান। আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে একের পর এক প্রশ্ন। পোশাক বিতর্ক কিংবা উপাচার্যের ঘরে অভব্য আচরণ। প্রশ্ন তুলছে একটাই। দাবি যাই হোক না কেন, এভাবে কি কলরব তৈরি করা যায়?
ওয়েব ডেস্ক: গতকাল ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন উপাচার্য। আজ রবিবারও বিক্ষোভে অনড় ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্য না থাকা সত্ত্বেও চলছে অবস্থান। আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে একের পর এক প্রশ্ন। পোশাক বিতর্ক কিংবা উপাচার্যের ঘরে অভব্য আচরণ। প্রশ্ন তুলছে একটাই। দাবি যাই হোক না কেন, এভাবে কি কলরব তৈরি করা যায়?
যাদবপুরের হোক কলরব আন্দোলনের পরে প্রায় একই অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু কলরব তৈরি হল না। শনিবার উপাচার্য জানিয়েছিলেন, আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটবে না। সেজন্য নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে একেবারে বাড়ি চলে যান তিনি। রবিবার উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা ফের অবস্থানে বসেন। আর তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দাবি যআই হোক না কেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঐতিহ্যশালী ঘরে বোতল বাজিয়ে আন্দোলন করা যায় কি?
এমন পোশাকে আন্দোলনের কোন দাবি জোরাল হচ্ছে?
আন্দোলন যদি উপাচার্য পদের বিরুদ্ধেই হয়, তাহলে ২৬ ঘণ্টা অনুরাধা লোহিয়াকে বসিয়ে রাখা হল কেন?
উপাচার্যের ঘর, ঘর লাগোয়া কনফারেন্স রুম নোংরা করে আন্দোলনের কোন দাবি পূরণ হবে?
ছাত্রছাত্রীরা অবশ্য এসব অভিযোগ মানতে নারাজ।
ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসি আক্রমণের প্রতিবাদে যাদবপুরের গণভোটে উঠে এসেছিল একতার ছবি। প্রেসিডেন্সিতে তা হয়নি। কনভোকেশন হল বয়কটের ডাক দেওয়া সত্ত্বেও, উপাচার্যের কাছে আসা একের পর এক এসএমএস আর ইমেল বুঝিয়েছে এব্যাপারে ঐকমত্য হয়নি। ফলে কেন কলরব তৈরি হল না, সেটা এবার ভেবে দেখার সময় এসেছে এই পড়ুয়াদের। প্রেসিডেন্সিতে আন্দোলন নিয়ে প্রেসিডেন্সিই দ্বিধাবিভক্ত। বিক্ষোভের কিছু রকমসকম নিয়ে বাইরেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কিছুটা হলেও চাপে আন্দোলনকারীরা।
এটাই কি আন্দোলনের মুখ? (পোশাক)
এটাই কি আন্দোলনের ভাষা? (সিগারেট)
এটাই কি হোক কলরবের নতুন ফর্ম? (গান)
গত কয়েক ঘণ্টা ধরে এমন সব প্রশ্নই ধেয়ে আসছে প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীদের দিকে। কখনও ফেসবুকে, কখনও সরাসরি। রবিবার বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এসি চালিয়ে তারই যেন উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত আন্দোলনকারীরা। একটু যেন ব্যাকফুটেও। আর অন্তর্বাস পরে বিক্ষোভ দেখানো ছাত্র? তাঁর দায় এখন কেউই নিতে চান না।
কিন্তু ছাত্রছাত্রীরাও বুঝতে পারছে, আন্দোলনের রাশ অনেকটাই আলগা হয়ে গেছে। শুক্রবার পুলিসকে কাঠগড়ায় তুলে আন্দোলন শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্সিতে। রবিবার আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বললেন পুরো অন্য কথা। প্রেসিডেন্সি সম্পর্কে এসব কলরব অনেকদিন ধরেই হচ্ছে। কিন্তু এসব অভিযোগ আদৌ কি জোরাল হবে এবারের আন্দোলনে?