মনোজের পাশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি

`বিদ্রোহী` কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তীর পাশেই দাঁড়ালেন দলের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বুধবার প্রদীপবাবু বলেন, গোটা ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন মনোজ। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর ইস্তফাদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

Updated By: Jan 18, 2012, 04:02 PM IST

`বিদ্রোহী` কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তীর পাশেই দাঁড়ালেন দলের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বুধবার প্রদীপবাবু বলেন, গোটা ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন মনোজ। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর ইস্তফাদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
মঙ্গলবারই মহাকরণে দাঁড়িয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী। পদত্যাগের হুমকি দিয়ে মনোজবাবু বলেন, স্বৈরাচারি সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনি আর একদিনও থাকতে নারাজ। মন্ত্রী হিসেবে তিনি আর মহাকরণে ফিরবেন না বলেও সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন মনোজ চক্রবর্তী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোজের এই বিদ্রোহে আগেই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দীপা দাসমুন্সি, অধীর চৌধুরীরা। এবার তিনি পাশে পেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। কেন মনোজ চক্রবর্তীর বিদ্রোহের সমর্থনে গোটা কংগ্রেস?  কারণ, একটাই। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, রাজ্য সরকারে তাঁরা জোটশরিক হলেও, কোনও গুরুত্ব নেই তাঁদের। সবটাই চলছে তৃণমূলের একক সিদ্ধান্তে। মনোজ চক্রবর্তীর কথায় যা `স্বৈরাচারী সরকার`। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন পথে হাঁটবে কংগ্রেস? হাইকম্যান্ড চায় উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন পর্যন্ত ধীরে চলো নীতিতে চলুক প্রদেশ নেতৃত্ব। অন্যদিকে প্রদেশ নেতাদের মত দ্রোহ আরও জোরদার করার পক্ষে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিকল্প মুখ খোঁজার প্রক্রিয়াও। উঠে আসছে ইংরেজবাজারের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, শান্তিপুরের বিধায়ক অজয় দের নাম। তবে সবমিলিয়ে মনোজ চক্রবর্তী যে বিদ্রোহ শুরু করেছ,তার রেশ ধরে রাখতে চায় কংগ্রেস।
 
 

.